‘আমাকে একটি গানের সময় দাও’
2022-03-04 17:34:31

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা প্রথমে গায়ক জেই চৌ (চৌ চিয়ে লুন)-এর কয়েকটি গান শোনাবো। জেই চৌ ১৯৭৯ সালে চীনের তাইওয়ানে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে তার প্রথম এলবাম ‘জেই’ প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালের এলবাম ‘ফ্যান্টাসি’তে চীন এবং পশ্চিমের সঙ্গীতের বৈশিষ্ট সংযুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের কভারে স্থান পান তিনি। তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেন। এখন যে গানটি আপনারা শুনছেন, সেটা হলো তার গাওয়া ‘ছিং হুয়া ছি’। গানে বলা হয়েছে: আকাশ শ্যামল নীল মেঘলা, যেন বৃষ্টির জন্যে অপেক্ষায়। আর আমি তোমার জন্যে অপেক্ষায়। নদীর ওপারে দেখা যায় রান্নার ধোঁয়া উঠছে। ছিং হুয়া ছি –এর নিচে কার লেখা খুব সুন্দর দেখায়। যেন তোমার সঙ্গে দেখাসাক্ষাত-এর পূর্বাভাস দিয়েছে। চাঁদের আলো নদী থেকে তুলে আনা হয়। সে উত্তরাধিকার ছিং হুয়া ছি-এর মতো নিজের সুন্দরের নেশায় নিজেই আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তোমার চোখে হাসির স্বাদ পাই।

এখন শুনুন তার আরেকটি গান ‘থিং মামা ত্য হুয়া’ অর্থাত মায়ের কথা শুনতে হয়। গানে বলা হয়েছে: তোমার অনেক প্রশ্ন আছে: কেন অন্য বাচ্চারা বাইরে খেলতে পারে, কিন্তু আমাকে পড়াশোনা করতে হয়? কেন মায়ের কথা শুনতে হবে? বড় হওয়ার পর আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি, কেন আমি অন্য বাচ্চাদের চেয়ে দ্রুত দৌঁড়াতে পারি, অন্যদের চেয়ে উচ্চতায় উড়তে পারি। সবাই আমার লেখা গান গাইছে। মা তা শ্রম আমাকে দেখাতেন না। কিন্তু কী ভাল সব তার মনের মধ্যে! সুযোগ পেলে তার হাত ধরে স্বপ্নে ঘুরতে চাই। মায়ের কথা শোনো, তার মন খারাপ করে দিও না। তাড়াতাড়ি বড় হও, তাকে রক্ষা করো। মায়ের সুন্দর চুল কাল থেকে সাদা হয়ে যায়। এতে আমার সুখ আছে।    

এখন তার আরেকটি গান শুনুন। গানের নাম ‘কেই ওয়া ই শৌ ক্য ত্য শি চিয়ান’ অর্থাত আমাকে একটি গানের সময় দাও। গানে বলা হয়েছে: আমাকে একটি গানের সময় দাও। সেই আলিঙ্গন চিরস্থায়ী হোক। আমার কোলে তোমার চিন্তা নেই। গল্প শেষ পর্যন্ত শোনার পর বিদায় দাও। তোমার চোখের পানিকে বৃষ্টির দিনের জন্য রেখেছি। একসাথে থাকলে ‘স্বপ্ন’ বলা যায়, বিছিন্ন হলে বেদনা হয়। অশেষ স্বপ্ন সবচেয়ে বেদনাদায়ক।   

এখন শুনুন গান ‘তাও শিয়াং’। এ পৃথিবীতে এতো অভিযোগ কেন? পড়ে গেলে উঠে দাঁড়িয়ে আবার চলবে। মানুষ কি এতো দুর্বল? টিভি খুলো দেখো, কতো মানুষ জীবনের জন্য সাহস নিয়ে সামনে এগুচ্ছে। আমাদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত। তুমি বলেছিলে, বাসা-ই তোমার কেল্লা। তাও শিয়াং নদী বেয়ে দৌড়াও, হাসো। ছোটবেলার স্নপ্ন আমি জানি, কেঁদো না। দমকলের পেছনে দৌড়াও, গান গাও। বাসা তোমার চিরকালের কেল্লা। জীবনের প্রথম দিকের সৌন্দর্য্য মনে রেখো। এতো সহজে হাল ছাড়বে না। এক স্বপ্ন না-পূরণ হলে, অন্য স্বপ্ন দেখো। নিজের জীবনকে নিজেই রঙিন করো। সুখে থাকলে জীবনের অর্থ থাকে।

এখন শুনুন আরেকটি গান ‘পেন ছাও কাং মু’।

এখন শুনুন একজন গায়িকা চি ক্য চিউন ই’র গাওয়া গান ‘তিয়ান লিয়াং হুও পা’। গানে বলা হয়েছে: নীরব পাহাড় আমাদের সাহস দিয়েছে। সহজ মাটি আমাদের শক্তি দিয়েছে। পাথরের উপরে আমাদের প্রতিজ্ঞার কথা লিখে দেবে। জ্বলন্ত মশাল আমাদের জীবনকে আলোকিত করবে।

এখন শুনুন গান ‘হাই ইয়াং জি শিন’।

প্রিয় শ্রোতা, গান শুনতে শুনতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এলাম। তবে বিদায় নেওয়ার আগে আরেকটি গান শোনাবো। গানের নাম ‘তুং থিয়ান লি ত্য ই পা হুও’ অর্থাত শীতকালের আগুন। গানে বলা হয়েছে: তুমি যেন শীতকালের আগুন। তোমার উষ্ণ শিখা আমাকে গলিয়ে দিয়েছে। তুমি যখন আস্তে আস্তে আমার পাশে চলে এলে, তোমার শিখা আমাকে আলোকিত করলো। তোমার চোখ বড় ও উজ্জ্বল, যেন নীল আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা। (স্বর্ণা/আলিম/ছাই)