লিয়াং ইয়োংছি
2022-02-25 16:26:23

লিয়াং ইয়োংছি বা জিজি লিয়াং ১৯৭৬ সালের ২৫ মার্চ চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হংকংয়ের গায়িকা, সঙ্গীত লেখক এবং টিভি ও চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী। তিনি মেরিনল কনভেন্ট স্কুল থেকে স্নাতক হন। পাশাপাশি, তিনি হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ডিজাইনিং থেকে ডিপ্লোমা অর্জন করেন।

 

কেমন লেগেছে গানটি? ‘ছোট চুল’ গানটি জিজি’র একই নামের প্রথম ম্যান্ডারিন ভাষার অ্যালবামের প্রধান গান। অ্যালবামটি ১৯৯৭ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। অ্যালবামের ১০টি গানের মধ্যে ৯টি ছিল নতুন। অপর গানটি তাঁর এবং তেং লিচুনের একই নামে গানের কাভার সংস্করণ হয়েছিল। সেই সময় জিজি’র চুল বড় ছিল, কিন্তু গানের কারণে তিনি তা কেটে ফেলেন। তিনি আশা করেন, যখন ভালোবাসার আর পথ না থাকবে, তখন তাকে কেটে দেয়া হবে। বন্ধুরা, অ্যালবামে “চুইঙ্গাম” নামক গান রয়েছে। এটি একটু দ্রুত গতির গান, শুনতে খুব মজা। 

 

১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে জিজি তাইওয়ানের একটি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পরিবেশনা ক্যারিয়া শুরু করেন। ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে তিনি প্রথম ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। “আতশবাজি” ছিল তাঁর রচিত প্রথম গান। 

 

“লম্বা মেয়ের গল্প” জিজির ২০০২ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম “ফানি ফেস”-এর প্রধান গান। গানটি আসলে তিনি অন্য একজন গায়কের জন্য রচনা করেছিলেন। পরে তিনি মনে করেন, গানটির থিমের সঙ্গে নিজের লম্বা গঠনের অনেক মিল আছে। সুতরাং লিরিক্স পুনরায় রচনা করে তাতে তিনি লম্বা মেয়ে হিসেবে তাঁর নিজের অনুভূতি বলে দিয়েছেন। গানটির মাধ্যমে তিনি নিজের হৃদয়ের কথা বলেছেন। 


“তাজা” হলো জিজির ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত একটি অ্যালবাম। অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত ১২টি গানের মধ্যে “একটি শপথ করা” এবং “বৃষ্টির দিনে প্রেমে পড়া” দু’টো জনপ্রিয় গান। এর মধ্যে “একটি শপথ করা” গানটি তিনি হংকংয়ের অন্য একজন বিখ্যাত শিল্পী লিও কু’র সাথে গেয়েছেন। 


 গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে আজকে ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানের শেষ গান হিসেবে আমি আপনাদের জিজি’র আরেকটি গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘ভালবাসা তাই আঘাত করে’। ২০০৬ সালে তাঁর সাত বছরের ভালোবাসা শেষ হয়েছে। তিনি গভীরভাবে প্রেমের  ব্যথা হৃদয়ঙ্গম করেছেন। তাঁর অনেক বন্ধু ও শ্রোতা তার যত্ন নিয়েছেন, তবুও তিনি গানের মধ্য দিয়ে প্রেম সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। গানটি রেকর্ড করার সময় তিনি কয়েক বার কান্না করেছেন। মনে হয়, খুব কষ্টকর অভিজ্ঞতা। যাই হোক, আশা করি, আপনাদের এমন অভিজ্ঞতা অনুভব করতে হবে না। 

 

 (প্রেমা/এনাম)