প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বিপ্লব চীনের কৃষিতে
2022-02-24 20:14:22

শান্তা মারিয়া, ফেব্রুয়ারি ২৪: চীনের কৃষিতে লেগেছে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে কৃষি কাজের পরিসর, তেমনি কমেছে ব্যয় ও শ্রমের ব্যবহার। বিশেষ করে চলতি বসন্ত মৌসুমে কৃষিখামারে ব্যবহার হচ্ছে ড্রোনসহ বহুমুখী প্রযুক্তি।

ফসলের মাঠে উড়ছে ড্রোন। ড্রোনের সাহায্যে বিস্তৃত জমির ফসলে ছিটানো হচ্ছে রাসায়নিক সার। আর স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারের পরিমাণ, ছিটানো জায়গাসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ কৃষকের হাতের মুঠোয়।

 

কী অবাক হচ্ছেন? আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকাজের এমন চিত্র এখন চীনের গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে, ক্ষেত-খামারে। কৃষকরা বলছেন, এতে একদিকে যেমন পরিশ্রম কমেছে অন্যদিকে কমেছে অপচয় ও খরচ।

“ড্রোনের সাহায্যে আমি কয়েক শ’হেক্টর জমিতে সার দিতে পারি। এর ফলে খরচই শুধু কমছে না, খাটুনিও বাঁচছে।”

চীনের কুয়াংতং প্রদেশে কৃষিতে প্রযুক্তিগত সেবা দেয়ার জন্য আছে  বিভিন্ন রকম ব্যবস্থাপনার প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের প্রযুক্তিগত সেবা দেয়া হয়। কিভাবে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারেন সেটি হাতে কলমে শেখানোর ব্যবস্থাও আছে।

উ তুংচিয়ে, বসন্তকালীন কৃষি সেবাকর্মী

“কুয়াংতং একাডেমি অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেস এর অনেক বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যেন নতুন জাতের চারা সরবরাহে সহযোগিতা পাওয়া যায়। আধুনিক কৃষির নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এই প্লাটফর্ম।”

চলমান বসন্তকালীন কৃষি মৌসুমের কাজে স্থানীয় কৃষকদের জমিতে সার দেয়া, সেচকাজ, কৃষি সম্পদ বন্টনসহ বহুমুখী সহায়তা দেয়া হয় এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে।

লং ওয়েন, পরিচালক, ফেডারেশন অব সাপ্লাই অ্যান্ড মার্কেটিং কোঅপারেটিভ

‘কৃষি সম্পদ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে চার হাজারের বেশি সিস্টেম সংগঠিত করা হয়েছে। ৫ মিলিয়নের বেশি কৃষক এ থেকে সুফল পাচ্ছেন।’

এদিকে, চীনের ফুচিয়ান ও হাইনান প্রদেশের ভুট্টা চাষেও দেখা মিলবে প্রযুক্তির ব্যবহার। অনুকূল আবহাওয়ায় এবার ভুট্টার বীজ ও চারা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। তাই গোটা চীনের ৩০ শতাংশ ধান ও ভুট্টার বীজ ও চারা উৎপাদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাইনান। এসব অঞ্চলে আধুনিক পরিবহনের মাধ্যমে চীনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে কৃষি উপকরণ, সার, বীজ ও চারা।

সম্পাদনা: সাজিদ রাজু