রোববারের আলাপন-বিদেশি খেলোয়াড়দের মন কেড়েছে শীতকালীন অলিম্পিক গ্রামের খাবার
2022-02-20 06:36:36

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি আপনাদের বন্ধু এনাম ও আকাশ। 


বন্ধুরা, বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এখন চলছে। শীতকালীন অলিম্পিক গ্রাম বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের সুস্বাদু খবার পরিবেশন করছে। এখানকার খাবার সবাই খুব বেশি পছন্দ করছেন। আমরা আজ এ বিষয়ে আপনাদের সাথে আলাপ করব, কেমন?


বন্ধুরা, এই গ্রাম ২৪ ঘণ্টা খাবার পরিবেশন করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬৭৮ ধরনের খাবার সরবরাহ করে। এসব খাবারের মধ্যে ভেজ, হালাল, এবং কুশারও রয়েছে। পাশাপাশি, তাতে চীনের বিভিন্ন ধরনের খাবারও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব খবার বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের মন কেড়েছে। সম্প্রতি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, শুধু চীনের রোস্ট ডাক নিয়ে একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। গ্রামটিতে একদিনের লাঞ্চে ৮০টি রোস্ট ডাক সরবরাহ করা হয়। 

তিনি জানান, শীতকালীন অলিম্পিক গ্রামের মেন্যু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির দাবী অনুসারে, বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার নিশ্চিত করে থাকে। 


সম্প্রতি শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের স্নোবোর্ডিংয়ের হাফ পাইপ প্রতিযোগিতায় মাল্টার খেলোয়াড় জেনিস স্পিটেরি প্রতিযোগিতা শেষে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার সময় ব্যাগ থেকে হাফ রেড বিন পাও চি, তথা রেড বিন রুটি বের করে মুখে পুরেন। এ সময় টিভির লাইভ ক্যামেরা এই দৃশ্য ধারন করে এবং তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। 


পরে এক সাক্ষাত্কারে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চীনা খাবার হচ্ছে তার প্রিয়। শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে আসার পর, তিনি প্রতিদিন ছয়টি রেড বিন পাও চি খান। প্রতিযোগিতার ওই সকালে তিনি অনেক নার্ভাস ছিলেন। এজন্য কিছুই খেতে পারেননি। তাই তিনি কিছু রেড বিন পাও চি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। 


তিনি বলেন, ‘যখনই আমার প্রতিযোগিতা শেষ হয়, তখনই আমি খাবার খেতে শুরু করি’। 


তার ওই ভাইরাল ভিডিও’র নিচে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “এ মেয়েটা অনেক সুন্দর। আমি জোর প্রস্তাব দিচ্ছি যে, শীতকালীন অলিম্পিক গেমস শেষ হওয়ার পর, দেশে ফিরে যাওয়ার সময়, তিনি যেন আরো বেশি রেড বিন পাও চি সঙ্গে নিয়ে যান।”


যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড় শন হোয়াইট অলিম্পিক গেমসের ডাইনিং হলের ভিডিও ধারন করেছেন। তাঁর ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে চীন ও এশিয়ার নানা রকম খাবার, পিত্জা, পাস্তা, ও অনেক সুস্বাদু ফল ও মিষ্টান্ন রয়েছে। 


তিনি বলেন, “অনেকে আমাদের জিজ্ঞেস করেন, আপনারা প্রতিদিন কী কী খান? আসলে এখানে সব খবারই পাওয়া যায়”।


যুক্তরাষ্ট্রের আরেকজন খেলোয়াড় জুলিয়া মারিনো। তিনি নারীদের স্নোবোর্ড স্লোপস্টাইলে রূপা জিতেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তার প্রিয় খাবার হলো চাও চি তথা চীনা ডাম্পলিং। 

তিনি বলেন, “আমি এখানে আসার পর থেকে মোট ২০০টি ডাম্পলিং খেয়েছি”। 


জানা গেছে, চীনের চাও চি ও রোষ্ট ডাক অলিম্পিক গ্রামে বেশ জনপ্রিয়। দিনে প্রায় শতাধিক কেজি চাও চি সরবরাহ করতে হয়। লাঞ্চের সময় ৮০টিরও বেশি রোস্ট ডাক সরবরাহ করা হয়। 


আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান থমাস বাখ বলেন, “আমাকে বলতে হবে যে, যদি আমি গ্রামটিতে আরো তিনদিন থাকি, তাহলে আমার ওজন আরো পাঁচ কেজি বাড়বে। এখানকার খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু”। 

তিনি বলেন, “আমি অনেক খেলোয়াড়ের সাথে আলাপ করেছি, তারা সবাই এখানকার ঘর, খাবার ও সেবার প্রতি অনেক সন্তুষ্ট। তাতে আমি অনেক খুশি”।