গত ১৩ নভেম্বর চায়না মিডিয়া গ্রুপ এবং বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে ২০২০ সালে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের খাদ্যতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৬৭৮টি বৈশিষ্ট্যময় খাবারের মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ২০০টি খাবার সরবরাহ করা হয়। প্রতি ৮ দিন পর আবার খাদ্য তালিকাটি চক্রাকারে ফিরে আসে। সে সময় থেকে খাবারের ওপর দৃষ্টি রেখে আসছে সবাই। চীনের শীত্কালীন অলিম্পিক গেমস চলাকালে চীনের খাবার অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সুস্বাদু খাবার বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়দের বেইজিংয়ে আনন্দময় সময় উপহার দিয়েছে। বিদেশি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মজার খাবার খুঁজে বের করা বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড়দের বিনোদনমূলক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস প্রতিকার ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এন্ড্রি কেহের বেইজিং থেকে সম্প্রচারের ফাঁকে তাঁর ডায়রি প্রকাশ করেন। ওই নিবন্ধে বলা হয়, শীত্কালীন অলিম্পিক গ্রামের রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরির রোবট দেখা যায়। রোবট প্রতিটি প্লেট ছাদ থেকে নামিয়ে খেলোয়াড়দের টেবিলে রাখে। এটি কোনও সাধারণ শীত্কালীন অলিম্পিক নয়। মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারীরা আগের মতো স্থানীয় সংস্কৃতি ও সুস্বাদু খাবার পাওয়া কঠিন বিষয়। তবে রুদ্ধদ্বার পরিবেশে সুস্বাদু খাবার কোথায় পাওয়া যাবে- তা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাথে "খাদ্য খুঁজে বের করুন" একটি বিস্ময়কর বিষয় হয়ে উঠেছে। যা্কই হোক না কেন, বিদেশী ক্রীড়াবিদ, স্বেচ্ছাসেবক বা সাংবাদিকরা, সবা্ই নিজের পছন্দের খাবার খুঁজে পেতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, "খাদ্য অনুরাগী" সর্বদা বিভিন্ন উপায়ে চীনের বিখ্যাত খাবার খুঁজে পেতে পারে। ফলে তারা জানেন যে, কোনো শেফ বিশেষ খাবার তৈরি করতে পারে, যেখানে বিশেষ ককটেল খুঁজে বের করতে পারে, ইত্যাদি। তা ছাড়া সবাই মেইলের মাধ্যমে একে অপরকে শেয়া করে থাকেন।
এটি প্রমাণ করেছে যে, যতক্ষণ খোলা মানসিকতা, স্বাধীন আত্মা এবং উপযোগী প্রত্যাশায় থাকলে জ্বিপে সুস্বাদু খাবার টেস্ট করতে পারে।
আজকের এ অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের জন্য কিকি খাবারের সরবরাহ করা হয়। খাবারের কি কি বৈশিষ্ট্য আছে? কে এই খাদ্যতালিকা তৈরি করেছে? মহামারীর প্রেক্ষাপটে খেলোয়াড়দের নিরাপদ খাওয়া কীভাবে নিশ্চিত করা হয়?। সে সব সম্পর্কে আলাপ করা হবে। চলুন...