ফেব্রুয়ারি ৫: গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে ২৪তম শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাতে অংশগ্রহণ করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, “এবার আপনি এসেছেন, তাতে আমাদের‘শীতকালীন অলিম্পিক গেমস-বিষয়ক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের আজকের এই ‘নতুন বসন্তের সাক্ষাত’ দু’দেশের সম্পর্ককে আরো বেশি প্রাণশক্তি যুগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।” গতকাল বিকেলে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
এবারের সাক্ষাতটি ছিল গত দু’বছরে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাত। তার আগে ২০১৪ সালে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণে রাশিয়া গিয়ে সচি শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি। তখন উভয় নেতা “২০২২ সালে বেইজিংয়ে আবারও দেখা হবে” বলে কথা দিয়েছিলেন। আর সেটিরই বাস্তবায়ন হলো গতকাল। এটি আসলে দুই নেতার মধ্যকারের গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন। নতুন যুগে দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত অংশীদারি সম্পর্কের প্রমাণ বহন করে।
দুই নেতার ‘নতুন বসন্তের এই সাক্ষাতে’ ‘কৌশলগত সমন্বয়’ ছিল প্রধান শব্দ। এটি টেকসই উন্নয়নের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের আহ্বানের সাথেও সংঙ্গতিপূর্ণ।
বৈঠকে “বাস্তব সহযোগিতা” ছিল আরেকটি প্রধান শব্দ। তার দ্বারা বাণিজ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তি, অর্থসহ নানা খাতের সহযোগিতাকে বুঝানো হয়েছে। উভয় নেতা এসব নিয়েও আলোচনা করেছেন। দুই নেতা একযোগে ঘোষণা করেছেন যে, চীন ও রাশিয়া ক্রীড়া আদানপ্রদান বর্ষ পালন করবে। দু’দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২০টি সহযোগিতা স্মারক সাক্ষর করেছে। এসব দু’দেশের বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তি আরো মজবুত করবে।
চীন ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এবারের ‘নতুন বসন্তের সাক্ষাত” দুদেশের সম্পর্ককে দিকনিদের্শনা প্রদান করেছে। দু’দেশের উচ্চমানের পারস্পরিক আস্থা ও সার্বিক এবং বাস্তব সহযোগিতা শুধু দু’দেশের জনগণের জন্য নয় , বরং জটিল ও পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির জন্যও ইতিচাবক শক্তি প্রদান করবে। (আকাশ/এনাম/রুবি)