দারিদ্র্যবিমোচনে প্রতিটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; কোনও জাতিগোষ্ঠী বাকি থাকবে না।
2022-01-30 15:48:15

 

জানুয়ারি ৩০: বসন্ত উত্সবের প্রাক্কালে, তৃণমূল পর্যায়ে পরিদর্শন করা এবং ব্যক্তিগতভাবে জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো চীনের প্রেসিডেন্ট ও সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের গত দশ বছর ধরে চলমান একটি বিশেষ অভ্যাস।

২০১৪ সালের জানুয়ারি মানে চান্দ্রপঞ্জিকার ঘোটকবর্ষের বসন্ত উত্সবের প্রাক্কালে, শীতে তুষার-ঢাকা শিলিনগুওলে প্রেইরিতে, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলীয় পদ্ধতিতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে দেশবাসী ও সমগ্র দেশের জনগণের জন্য প্রার্থনা করেন। পাঁচ বছর পর, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং আবারও ইনারমঙ্গোলীয়ায় যান। তিনি জোর দিয়ে বলেন: “সার্বিক সচ্ছল সমাজ গঠনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; চীনা জাতির মহান পুনরুত্থান বাস্তবায়নে প্রতিটি জাতির সহযোগিতা প্রয়োজন।”

 

প্রত্যন্ত জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলগুলিতে যাতায়াত করা অনেক কঠিন। সেসব অঞ্চলে যোগাযোগ-ব্যবস্থা তৈরি করা দারিদ্র্যবিমোচনের জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ। সারা দেশের ১৪টি কেন্দ্রীভূত দারিদ্র্য-কবলিত এলাকার মধ্যে ১১টি জাতিগত এলাকা বা এলাকায় অবস্থিত। যেখানে জাতিগত স্বায়ত্তশাসন রয়েছে; সারা দেশের ১২০টি স্বায়ত্তশাসিত কাউন্টির মধ্যে ৮৫টি জাতীয় পর্যায়ের দরিদ্র কাউন্টি; চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্ধারিত ‘তিনটি জেলা ও তিনটি প্রিফেকচার’ সবই জাতিগত এলাকায়।

সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং সর্বদা জাতিগত সংখ্যালঘুদের দারিদ্র্যবিমোচনের কথা মাথায় রেখেছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন যে, দারিদ্র্যবিমোচনের পথে, প্রতিটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; কোনও জাতিগোষ্ঠী বাকি থাকবে না।

 

চীনা ভূখণ্ডের উত্তর-পশ্চিমে, একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল রয়েছে—সিনচিয়াং। এটি চীনের ভূমির প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ। এখানে ৪৭টি জাতিগোষ্ঠী বাস করে। সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং সব সময়ই সিনচিয়াং-এর সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জীবনের প্রতি যত্নশীল। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে, সি চিন পিং সিনচিয়াং পরিদর্শন করেন। প্রথম ধাপে দক্ষিণ সিনচিয়াংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর- কাশগরে যান তিনি। সি চিন পিং তার সিনচিয়াং পরিদর্শনের উদ্দেশ্য বলেছিলেন: “কেন্দ্রীয় সরকারের জনগণের উপকারী নীতি মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে প্রোথিত এবং জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা- তা দেখতে আমি এখানে এসেছি। জনগণের ইচ্ছা পূরণ, জনগণের জীবন-জীবিকার সুবিধা এবং জনগণকে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য পার্টির সব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।”

 

সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং একবার জোর দিয়ে বলেন যে, চীনা জাতি একটি বড় পরিবার এবং এই পরিবারে ভাল জীবনযাপন করা উচিত। আজ, ইনারমঙ্গলিয়া, কুয়াংসি, তিব্বত, নিংসিয়া ও সিনচিয়াং—এই পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কুইচৌ, ইয়ুননান ও ছিংহাই এই তিনটি কেন্দ্রীভূত জাতিগত সংখ্যালঘু জনসংখ্যার প্রদেশ বর্তমান মানদণ্ডে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। ২৮টি ক্ষুদ্র জনসংখ্যার জাতিগোষ্ঠী থেকে চরম দারিদ্র্য বিদায় করা হয়েছে। যা চীনা জাতির ইতিহাসে একটি অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

 

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং কুয়াংসি পরিদর্শন করার সময় আবারও জোর দিয়ে বলেন, দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্যের দিকে নতুন যাত্রায়, একটি জাতিও পেছনে থাকবে না। তিনি বলেন,

“আমি যেমন বলেছি, দারিদ্র্যবিমোচনের পথে কোনো মানুষ পেছনে থাকবে না, কোনো জাতিগোষ্ঠী বাকি থাকবে না। চীনাদের কথা, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কথা এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের কথা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। এখন চীনের ৫৬টি জাতিগোষ্ঠীকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা হয়েছে, আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। আমরা এখানেই থেমে যেতে পারি না। পরবর্তীতে, আমাদের দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্যের নতুন পথে এগিয়ে যেতে হবে। এই যাত্রায় কোনও জাতি বাকি থাকবে না। আসুন, কঠোর পরিশ্রম করি এবং নতুন পথে এগিয়ে যাই।”

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)