দেহঘড়ি পর্ব-৫৩
2022-01-28 18:07:40

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’।

## প্রতিবেদন

করোনাভাইরাসের ডেল্টাক্রন ধরন নিয়ে বিতর্ক

সাইপ্রাসের বিজ্ঞানীরা সার্স-কোভ-২ এর নতুন একটি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার কথা জানান জানুয়ারির শুরুর দিকে। এর নাম দেওয়া হয় ডেল্টাক্রন। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটা ডেল্টা এবং ওমিক্রনের একটা হাইব্রিড।

সাইপ্রাসের যে বিজ্ঞানীরা নতুন এই ধরন পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাদের নেতৃত্বে ছিলেন লিওন্ডিওস কোস্ত্রিকিস নামে একজন চিকিৎসক।

তিনি বলেন, নতুন এই ধরনটির জিনোমের সঙ্গে মিল রয়েছে ডেল্টার আর বৈশিষ্ট্য ওমিক্রনের মতো। ওই বিজ্ঞানী জানান যে, এ পর্যন্ত ২৫ জন এই ডেল্টাক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডেল্টাক্রনের সন্ধানের খবরটি ব্যাপক আকারে প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

যুক্তরাজ্যের ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের কোভিড-১৯ জিনোমিক ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ড. জেফরি ব্যারেটের বিশ্বাস এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার খবরটির সঙ্গে ল্যাবের কোনো ত্রুটির যোগসূত্র রয়েছে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের একজন ভাইরোলজিস্ট ড. টিম পিকক টুইটারে লিখেছেন, বেশ কটি বড় মিডিয়াতে ডেল্টাক্রনের যে খবর এসেছে, তা ত্রুটিপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, ডেল্টাক্রন যদি আসলেও নতুন কোনো রিকম্বিন্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট হতো তাহলে এর ফাইলোজেনেটিক সোর্সে যে মিল থাকতো এখানে সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। এ থেকেই ডেল্টাক্রনে একটা ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এসব বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন কোস্ত্রিকিস। তিনি বলেছেন, ডেল্টাক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে যেহেতু ইনফেকশন রেট হাসপাতালে ভর্তি না হওয়া রোগীদের চেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে, তাই এখানে ত্রুটির সম্ভাবনা আসলে কম।   

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, আর এই নমুনাগুলোর সিকোয়েন্সিং প্রসিডিউর যেহেতু একাধিক দেশে হয়েছে, তাই এখানে ল্যাবের ত্রুটির সম্ভাবনাও কমে যায়।

সাইপ্রাসের এই বিজ্ঞানীরা নতুন করে আরও ৫২ জনের ডেল্টাক্রনে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। তিনি বলছেন, অভূতপূর্ব এই গবেষণার কারণে এই বিজ্ঞানীদের নিয়ে তিনি গর্বিত।

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ ডেল্টাক্রন নতুন কোনো হাইব্রিড ভ্যারিয়েন্ট নয় বলে ঘোষণা দিলেও কোনও কোনও বিজ্ঞানী এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চান না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের ইনফেকশাস ডিজিজের অধ্যাপক ড. উইলিয়াম শাফনার মেডিকেল নিউজ টুডেকে বলেছেন, সাইপ্রাসের বিষয়টা নিয়ে আরও বিশদ গবেষণা প্রয়োজন। গোটা বিশ্ব সেদিকে নজর রাখছে।

যেকোনও প্রমাণ, সেটা সাইপ্রাস থেকে আসুক বা অন্য কোথাও থেকে আসুক সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে এখনই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় আসেনি। ডেল্টাক্রনের ঘোষণা দেওয়া বিজ্ঞানী কোস্ত্রিকিস বলেছেন, তারা খুব শিগগিরই তাদের তথ্য-উপাত্ত পিয়ার রিভিউয়ের জন্য জমা দেবেন। একইসঙ্গে সারা বিশ্ব থেকে বিজ্ঞানীরা ডেল্টাক্রন নিয়ে যে মতামত দিয়েছেন সেটা তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। - অভি/রহমান

 

##হেল্‌থ বুলেটিন

করোনায় মৃতদের ৬৪.৬ শতাংশই টিকা নেননি

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৪.৬ শতাংশই করোনার টিকার একটি ডোজও গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি  স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৃত ৭৯ জনের মধ্যে মাত্র ২৮ জন (৩৫.৪ শতাংশ) করোনার টিকা নিয়েছিলেন। এই ২৮ জনের মধ্যে ছয়জন প্রথম ডোজ এবং ২২ জন দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। অবশিষ্ট ৫১ জনই (৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ) করোনার টিকার কোনো ডোজই গ্রহণ করেননি।

আরও বলা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও কিডনি রোগসহ কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে (কোমরবিড) আক্রান্ত ৫২ জন। তাদের শতকরা হার ৬৫.৮।

ওমিক্রনরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন গাইডলাইন

ওমিক্রনরোধে নতুন ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে দেশের সব হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত এক ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ওমিক্রনের কারণেই দেশে সংক্রমণ এতটা বেড়ে গেছে।

দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ

দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উদ্বেগের কারণ হচ্ছে অসংক্রামক রোগ। গত বুধবার প্রথম জাতীয় এনসিডি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে,  ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্যানসারে ভুগছে। প্রতি বছর নতুন করে আরও ৫০ হাজার যোগ হয় এ সংখ্যায়।

কারণ প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, জীবন যাত্রার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, স্থুলতা, তামাকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, অপর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম এবং ওষুধের অপব্যবহারের কারণে এনসিডি বাড়ছে। এ অবস্থায় এনসিডি প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের বাজারে আসছে ফাইজারের অ্যান্টি-কোভিড ট্যাবলেট

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের তৈরি মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। দেশীয় বাজারে ওষুধটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুপিটাভির’।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের মিডিয়া কলসালটেন্ট জাহিদ রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। - তানজিদ/রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি নিউমোনিয়া, বিশেষ করে শিশুদের নিউমোনিয়া নিয়ে। এই রোগটি বাংলাদেশে শিশুদের অন্যতম বড় ঘাতক, যার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের উদ্বৃতি দিয়ে ইউনিসেফ বলছে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকজুড়ে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। ইউনিসেফের বিশ্লেষণ বলছে, নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচেষ্টা জোরদার করার মাধ্যমে এদেশে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ১ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নিউমোনিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে। তাদের মতে, শিশুদের পুষ্টির উন্নতি, অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান, টিকাদানের আওতা বাড়ানো এবং বুকের দুধ পানের হার বাড়ানোর মাধ্যমে অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। নিউমোনিয়ার নানা দিক নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এআরএম লুৎফুল কবির। ডাক্তার কবির বর্তমানে কর্মরত আদ-দ্বীন ওমেন্স’ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, শিশুরোগ বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন এর আগে।

 

#ভুলের_ভুবনে_বাস

সি-সেকশন সম্পর্কে ভুল ধারণ থেকে মুক্ত হোন

সিজারিয়ান সেকশন বা সি-সেকশন হলো এমন অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যার মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় চিকিৎসকরা মায়ের পেট ও জরায়ু ছেদ করে গর্ভ থেকে সন্তানটিকে বের করে আনেন। স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা দেখা দিলে বা শিশু ও মায়ের জীবন সংশয় দেখা দিলে কেবল এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। প্রসবের এই প্রক্রিয়াটি আগে খুব কম ব্যবহার করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে অনেক নারী সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। তবে বাংলাদেশে এ পদ্ধতির অপব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ বহুদিনের। সি-সেকশন নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে মানুষের মধ্যে। চলুন আলোচনা করা যাক এমন কতগুলো ভুল ধারণা নিয়ে:

ভুল ধারণা: সি-সেকশনের পরে বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না

প্রকৃত তথ্য: আপনি কী প্রক্রিয়ায় আপনার সন্তানের জন্ম দেবেন, তার সঙ্গে আপনার বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষমতার কোনও সম্পর্ক নেই। যে প্রক্রিয়াই সন্তানের জন্ম হোক না কেন, বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা একটু অসুবিধাজনক মনে হতে পারে। তাই এটা শুরু করতে এবং শিশুকে খাওয়ানোর জন্য একটি আরামদায়ক অবস্থান বেছে নেওয়ার জন্য নার্স বা অভিজ্ঞ কারোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

ভুল ধারণা: সন্তানের সঙ্গে স্পর্শে অসুবিধা হয়

প্রকৃত তথ্য: এটা প্রমাণিত যে প্রসবের পরে মা ও শিশুর মধ্যে ত্বকের স্পর্শ শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং তাপমাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। যদিও এটি সত্য যে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর এটি করতে আপনার অসুবিধা হতে পারে, তবে এটি অসম্ভব নয়। আপনাকে কেবল একটি নিখুঁত অবস্থান খুঁজে বের করতে হবে, যা নবজাতক ও আপনার উভয়ের জন্যই আরামদায়ক। আর যেটা আপনাকে করতে হবে তা হলো নবজাতককে অস্ত্রপচারের কাটা জায়গা থেকে একটু দূরে রাখা।

ভুল ধারণা: সি-সেকশনের পরে আর স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব না

প্রকৃত তথ্য: এটা একেবারে ভুল ধারণা; সি-সেকশন পরবর্তীতে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের কোনও বাধা না। আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টের মতে, ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মহিলা সি-সেকশনের পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সক্ষম।

ভুল ধারণা: সি-সেকশন চলার সময় কিছুই অনুভূত হয় না

প্রকৃত তথ্য: যদিও চিকিৎকরা আপনাকে অ্যানেস্থেশিয়া বা চেতনানাশক দেবেন, যার কারণে আপনি ব্যথা অনুভব করবেন না, তবে আপনি আপনার পেটে কিছুটা টান এবং চাপ অনুভব করতে পারেন। এই কারণে অনেক মহিলা এ অস্ত্রপচারের সময় বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তবে এটি বেশ স্বাভাবিক।

ভুল ধারণা: সি-সেকশন ঝামেলামুক্ত

প্রকৃত তথ্য: চিকিৎসকরা সাধারণত স্বাভাবিক প্রসবের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যখন স্বাভাবিক প্রসবে উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি তৈরি হয় এবং প্রসূতি বা গর্ভের সন্তানের জীবন সংশয় দেখা দেয় তখন সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। যমজ সন্তান প্রসব, প্রসবের সময় জটিলতা, সংক্রমণ - এমন কিছু কারণে স্বাভাবিক প্রসবের বদলে সি-সেকশন করানো হয়। চিকিৎসরা মনে করেন, কারোরই অযথা সন্তান প্রসবের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত নয়; এটি কেবল জটিলতার ক্ষেত্রেই ভাল। - রহমান

 

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।