বসন্ত উৎসবে চীনা রেলওয়ের নজিরবিহীন সেবা
2022-01-27 20:08:20

সাজিদ রাজু, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: উৎসব মানেই চীনাদের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে ভ্রমণ। বসন্ত উৎসবে তাই চীনের রেলওয়ে পরিবহনে বেড়েছে যাত্রীচাপ। চাপ সামাল দিতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে চীনের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী নানা সেবার পসরা সাজিয়ে বসেছে রেলওয়ে বিভাগ।

বসন্ত উৎসবের আমেজ চীনের সবখানে। কাজ থেকে ছুটি পেয়ে গ্রাম কিংবা পর্যটন স্থাপনায় ছুটছে চীনারা। সারা বছরের কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে এই আনন্দ ভ্রমণের আর বিকল্প কি?

চীনে ভ্রমণ মানেই ট্রেন। সব পর্যায়ের মানুষের কাছে যাতাযাত সহজ ও সাবলিল করেছে রেলওয়ে। বিশেষ করে কম খরচে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের জন্য প্রথমেই প্রাধান্য পায় ট্রেন।

 

করোনা দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে কিছুটা কম বিধি নিষেধে এবার যেন বসন্ত উৎসবে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। তাই রেলস্টেশনে যাত্রীভিড় বাড়ছে ক্রমেই। আর সেই চাপ সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে চীনা রেলওয়ে।

ছাও চিয়ানপিং, চায়না রেলওয়ে হোহোট ব্যুরো কর্মকর্তা

“অনলাইন ও অফলাইনে আলাদা টিকিট পাওয়া সহজ করতে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ করে বয়স্ক নাগরিক, যারা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়েন তাদের জন্য টেলিফোনে টিকিট নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশনে এসেও তারা টিকিটসহ অন্যান্য সব সেবা পাবেন।“

এদিকে, প্রচণ্ড শীত ও খারাপ আবহাওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্টেশনে যেন কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

 

 

“রেলওয়ে স্টেশনে আমি বিনামূল্যে রক্তচাপ মাপতে পেরেছি। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।“

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তর-পূর্ব চীনের লিয়াংনিং প্রদেশ রেলওয়ে বিভাগ। তারা বলছে, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রেলসেবা নিশ্চিত করতেই তাদের এসব উদ্যোগ।

হু ইয়াং, প্রকৌশলী, যাত্রী ব্যবস্থাপনা বিভাগ

“শারীরিক সংস্পর্শ ছাড়াই যাত্রীরা নিজে নিজে যে কোন সেবা নিতে পারেন সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। বিশেষ করে স্টেশনে যেসব বস্তু হাতে পরিবহন নিষেধ যেমন পারফিউম, নেইলপালিশ কিংবা ছুরি-চাকু, ইত্যাদি বস্তু যাত্রীরা ডাকযোগে তাদের গন্তব্যে পাঠাতে পারবেন।“

 

গেল ১৭ জানুয়ারি চীনজুড়ে শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব উদযাপন। এ সময় প্রায় ১শ’ কোটিরও বেশি যাত্রী চীনের অভ্যন্তরীণ পর্যটন ও গ্রামকেন্দ্রীক ভ্রমনের জন্য রেলপথকে বেছে নেয়।