নগর, বন্দর ও শিল্পায়নে বদলে গেছে সিনচিয়াং
2022-01-27 20:04:26

জানুয়ারি ২৭, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: নগর, বন্দর ও শিল্পায়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে এক সময়ের অনুন্নত দরিদ্র জনপদ চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং। গেল কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়েছে চীন সরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্টে গেছে এই জনপদের বাসিন্দাদের জীবনমানও। স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ হওয়ায় কমেছে বেকারত্ব, বেড়েছে আয়।

এক সময় ধুসর মরুভূমি আর বিস্তৃত চারণ ভূমির জনপদে এখন শিল্পায়নের ছোয়া। বলছি, চীনের উইগুর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং এর কথা। গেল কয়েক বছরের শিল্পায়নে চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন চোখে পড়বে এখানকার তারিম বেসিন এলাকা। স্থাপন করা হয়েছে রিফাইনারিসহ বেশ কিছু শিল্প কারখানা।

এখানকার আরেক শহর হরজস। এখান থেকেই কনটেইনারে করে পণ্যের চালান যাচ্ছে বন্দরে। এই অঞ্চল দিয়েই হচ্ছে চীন-ইউরোপ মালবাহী ট্রেন চলাচল। ঘটছে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার।

পরিসংখ্যান বলছে, সিনচিয়াংয়ে ২০২১ সালে বার্ষিক মোট জিডিপির পরিমাণ ছিলো ১.৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ান বা ২৫২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ৫.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে  ১৫৬.৯ বিলিয়ন ইউয়ান বা ২৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ঘটায় এসব শহরে তৈরি নানা পণ্য পৌছে যাচ্ছে বিভিন্ন শহরে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনের কারণে।

আঞ্চলিক সরকারের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট আকারের শিল্প উদ্যোগে মোট মূল্য সংযোজন হয়েছে ৪৫৬ বিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে, কৃষিখামারগুলোতেও উৎপাদন বেড়েছে গেল কয়েক বছরে। বিশেষ করে কৃষি পণ্য যেমন টমেটো ও আঙুরের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, এই অঞ্চলে স্থায়ী-সম্পদ বিনিয়োগের পরিমাণ বছরে ১৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ৮২০ বিলিয়ন ইউয়ান বা ১২৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ছাড়িয়ে গেছে।

বিশেষ করে ২০২১ সালে ভোগ্যপণ্যের খুচরা বিক্রয় ১৭ শতাংশ বেড়ে মোট ৩৫৮ দশমিক ৪  বিলিয়ন ইউয়ান বা ৫৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। 

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, খামার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে অসংখ্য মানুষের। ফলে বেকারত্ব কমে গেছে। উন্নতি ঘটেছে জীবনমানে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে এসব এলাকায় বসবাসকারী উইগুর, কাজাখ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে বেড়েছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের পরিমাণ। বেড়েছে নতুন নতুন পেশায় অংশগ্রহণের সুযোগ। আর সেসব সুযোগ নিচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা।

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া, সম্পাদনা: সাজিদ রাজু