লিথুয়ানিয়ার রাজনীতিকের উচিত ভুল মনোভাব ছেড়ে দেওয়া: সিএমজি সম্পাদকীয়
2022-01-24 19:25:28

জানুয়ারি ২৪: লিথুয়ানিয়ার রাজনীতিক ‘এক চীন নীতিকে’ চ্যালেঞ্জ করায় চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এ কারণে লিথুয়ানিয়ার প্রতিষ্ঠান এবং লিথুয়ানিয়ায় ইইউ’র পুঁজি বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গোটা শিল্পের ক্ষয়ক্ষতি কয়েক কোটি ইউরো হতে পারে। লিথুয়ানিয়ার রাজনীতিকরা এ অবস্থা দেখে মনোভাব পরিবর্তন করেছে; তারা সরকারের সমালোচনা করেছে এবং সরকারকে দ্রুত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে। সিএমজি সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।

 

এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী লিথুয়ানিয়া সরকার। গত নভেম্বর মাসে লিথুয়ানিয়া তাইওয়ান কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত ‘লিথুয়ানিয়ায় তাইওয়ান কার্যালয়’ স্থাপনের অনুমোদন দেয়। লিথুয়ানিয়া ‘এক-চীন নীতি’ লঙ্ঘন করে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। এ থেকে বোঝা যায়, লিথুয়ানিয়া সরকার প্রথমে ভুল করেছিল, চীন সেই কারণে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে, যা হল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীনের ন্যায্য ব্যবস্থা।

গত বছরের শেষ নাগাদ এক গণ-জরিপ থেকে জানা যায়, সরকারের প্রতি দেশটির জনগণের আস্থার হার মাত্র ১৭.৩ শতাংশ। যা দেশটি প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন। এটি চীনের সঙ্গে  সম্পর্ক নষ্ট করার সঙ্গেও জড়িত।

 

লিথুয়ানিয়া রাজনীতিকদের স্পষ্টভাবে বুঝতে হবে, চীনা জনগণ দৃঢ়ভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করবে, যুক্তরাষ্ট্রের পিছন থেকে তাইওয়ান দিয়ে চীনকে প্রতিরোধের অপচেষ্টা চালালে তা নিশ্চয়ই ব্যর্থ হবে।

(শুয়েই/তৌহিদ/লিলি)