চীনে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় সুদিন
2022-01-20 20:37:36

চীনে পরিবেশবান্ধব ব্যবসায় সুদিন

সাজিদ রাজু, জানুয়ারি ২০: প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত কোন বস্তুই ফেলে দেয়া হবে না, হবে পুনরায় ব্যবহার। বিশেষ করে ব্যবহার্য পণ্য থেকে শুরু করে যন্ত্রচালনার বিদ্যুৎ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পানির ব্যবহার, সবই এখন করা হচ্ছে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে। চীনে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চীনের ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফিরতে শুরু করেছে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনায়।

পরিবেশের প্রতি সচেতনতা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। বাদ যায়নি চীনের ভোগ্যপণ্যের জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও। বিশেষ করে নিজেদের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে পরিবেশ বিবেচনা প্রাধান্য পাচ্ছে সবার আগে। 

পশ্চিমা জায়ান্ট কফি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান স্টারবাকস কিংবা ম্যাকডোনাল্ডস এর কথাই ধরা যাক। নিজেদের ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সর্বত্রই নজর পরিবেশ কেন্দ্রীক। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নিজেদের ব্যবহার করা কফির উপাদানগুলো আবারো ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমিতে সার হিসেবে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বাইরের কোন দেশে এই প্রথম এমন উদ্যোগ নিলো তারা।

লিও সোই, প্রধান নির্বাহী, স্টারবাকস চায়না

“প্রথমত আমাদের এখানে পানির ব্যবহার, বিদ্যুতের ব্যবহার এবং ভবন নির্মাণের সামগ্রী সবই পরিবেশের সঙ্গে মানানসই। একইভাবে আমাদের এখানে যেসব বর্জ্য তৈরি হয় তা আবারো ব্যবহার করা হয়, কোনটাই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। তাই আমরা এটাকে নাম দিয়েছি সবুজ গবেষণাগার। এটার মতো আমাদের অন্য ৬০টি স্টোরও একইভাবে সাজাচ্ছি।“

এতোসব পদক্ষেপে পণ্যের দাম যে কিছুটা বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে গ্রাহকরা বলছেন, পরিবেশের জন্য নিরাপদ পণ্য পেতে কিছু বাড়তি পয়সা খরচ করতে কোন সমস্যা নেই।

গ্রাহক

“যা দেখছি তা যদি সত্যি হয়, এসব যদি সত্যিই পরিবেশবান্ধব হিসেবে ভালো কাজ করে তাহলে নিশ্চয়ই দামটা একটু বেশি পড়বে। তবে আমি সেই বেশি দাম পরিশোধ করতে রাজি আছি।“

বসে নেই অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও। পরিবেশ বান্ধব পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এই প্রতিযোগিতায় তাই যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা।

 

< ফিলিস চিউং, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যাকডোনাল্ডস চায়না

“আমাদের বিক্রেতারা পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে আমরা টেকসই প্যাকেজিং ব্যবহার করছি, এর মধ্যে কিছু জিনিস বারবার ব্যবহার করা যাবে। বিশেষ করে ফেলনা জিনিসপত্র দিয়ে আমরা আবার বাচ্চাদের চেয়ার, খেলনা এগুলো বানানোর কাজে ব্যবহার করছি।“

এদিকে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই। মাইক্রোসফট ও লোরেল এর মতো প্রতিষ্ঠান, লজিস্টিকস কোম্পানিগুলোও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অফিস, পণ্য এমনকি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহার শুরু করেছে।