আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি এনাম এবং আকাশ।
বন্ধুরা, আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত উত্সব। তাই আমরা আজ এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলাপ করব, কেমন?
বন্ধুরা, অতীতে বসন্ত উত্সব উপলক্ষ্যে পরিবারের সদস্যদের জন্য সবাই উত্সবের অনেক আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু করতেন। বসন্ত উত্সবের সময় কয়েকদিন দোকান-পাটও বন্ধ থাকতো।
এনাম: আমাদের বাংলাদেশের ঈদের মতো, তাইনা?
আকাশ: হ্যাঁ। আপনি ঠিক বলেছেন। এজন্য তখন উত্সবের আগেই অনেক জিনিস, যেমন: মাছ, মাংস, সবজিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু কিনে রাখতে হতো। এখনো আমার মনে আছে, আমার আত্মীয়গণ ভাজা মাছ খেতে অনেক পছন্দ করেন। এজন্য বসন্ত উত্সবের আগে আমার মা দাদা বাড়িতে গিয়ে অনেক মাছ ভাজতেন। এটি ছিল অনেক কষ্টকর।
এনাম: মাছে-ভাতে বাঙালি, ভাইয়া, চীনারাও কি মাছ খেতে পছন্দ করেন?
আকাশ: হ্যাঁ, অবশ্যই। বিশেষ করে, আমার পরিবার, আমার বাবা একসাথে অনেক ভাজা মাছ খেতে পারেন। বর্তমানে সবসময় সুপারমার্কেট খোলা থাকে, বসন্ত উত্সবেও খোলা থাকে। আইনলাইনও কেনাকাটা করা যায়। এজন্য এখন উত্সবের আগে কেনাকাটা শুরু করা লাগে না।
ভাই, বাংলাদেশেও এখন একই অবস্থা, তাইনা? আমি দেখেছি ঈদের সময় উত্তরায় আগুরা, স্বপ্ন, ফ্যামিলি নিডসসহ সব সুপার মার্কেট খোলা থাকে, তাইনা? কিন্তু আমি প্রথমবার বাংলাদেশের যাওয়ার পর ঈদের সময় সব দোকান-পাটকে বন্ধ থাকতে দেখেছি।
এনাম: হ্যাঁ। ভাই, আপনি ঠিকই বলেছেন।
আকাশ: ভাই, গ্রাম অঞ্চলের অবস্থা কী? একই অবস্থা না-কি? বাংলাদেশে থাকার সময় আমি আসলে গ্রামে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগ পাইনি, আমাকে একটু বলবেন কি?
এনাম:...
আকাশ: এ ছাড়া, এখন বসন্ত উত্সবের সময় এত বেশি খাবারও তৈরি করে না সবাই। ফলে এত বেশি কেনাকাটারও দরকার পড়ে না। কিন্তু আমি আমার ছোটোবেলার স্মৃতি অনেক মিস করি। বসন্ত উত্সব বা অন্য ঐতিহ্যিক উত্সবে বড় পরিবারের সবাই মিলে সুন্দর খাবার খান, গল্প করেন। এই মুহূর্তটির জন্য আমরা অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে থাকি। তাইনা? এনাম ভাই, আপনি কী বলেন?
এনাম:...
সংগীত
বন্ধুরা, বেইজিং শীতকালীন আলিম্পিক গেমসের পর্দা দ্রুত উঠবে। এখন তার প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এবারের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে সম্পদের কম ব্যবহার ও পরেবিশ সুরক্ষায় অনেক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান থমাস বাখ বলেছেন, বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি “অলিম্পিক নতুন মডেল” সৃষ্টি করেছে।
বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনের মাধ্যমে অঞ্চল ও শহরের উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যোগ হয়েছে। মানবজাতি ও প্রকৃতির সহাবস্থানের উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। ধারাবাহিক নতুন ব্যবস্থা অলিম্পিক খেলাধুলার ভবিষ্যতের জন্য চীনা মেধা ও পদ্ধতি প্রদান করছে।
আসন্ন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস ও শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের টেকসই পরিকল্পনাতে শহুরে ও আঞ্চলিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সংযুক্ত করা হয়।
টেকসই উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতার পর নানা স্থাপনা জনগণের জন্য খোলে দেওয়ার বিষয় দুটো শীতকালীন অলিম্পিক স্টেডিয়ামের নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের জন্য নতুন উপাদান প্রদান করবে।
শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনের মাধ্যমে বেইজিং, থিয়ান চিন ও হ্য পেই’র সমন্বিত উন্নয়ন হচ্ছে। বেইজিং-চাং চা খো উচ্চ গতি রেলপথ আন্তঃশহর যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরো সুবিধাজনক করেছে। চাং চা খোতে উত্পাদিত বাযু ও সৌর বিদ্যুত বেইজিংয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে। বেইজিং ও চাং চা খো ক্রীড়া সাংস্কৃতিক পর্যটনও অনেক উন্নত হচ্ছে। শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি নেয়ার গত ছয় বছরে, এক একটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে। সবুজ শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রস্তুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।