জানুয়ারি ৯: যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদ্বয় সম্প্রতি আয়োজিত ‘২+২’ অনলাইন সম্মেলনে আবারও তথাকথিত ‘চীনা হুমকি’-র কথা বলেছেন। এর আগে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া এক বৈঠকে পারস্পরিক অ্যাক্সেস চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রকারান্তরে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
নতুন বছরের শুরুতে গোটা বিশ্বের মানুষ শান্তি ও স্থিতিশীলতা আশা করছে। তবে, উক্ত তিনটি দেশ মিথ্যাচার করে, সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে, এবং অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে সমস্যা সৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের আচরণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
তবে সবাই বুঝতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তথাকথিত ‘চীনা হুমকি’ আসলে নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির অজুহাত মাত্র। শীতল যুদ্ধের ফসল হিসেবে গড়ে উঠেছে জাপান-মার্কিন জোট। দু’দেশ নিজেদের সামরিক ব্যয় ফিবছর বাড়িয়েই চলেছে। প্রশ্ন হচ্ছে: এই দু’টি দেশ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কী চায়?
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ও আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। জাপান ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুত্কেন্দ্রর পারমাণবিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশগুলোর কর্মকাণ্ড নিজেদের প্রচারিত মূল্যবোধেরই পরিপন্থি। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)