সাজিদ রাজু, জানুয়ারি ৬: শিল্প কারখানার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবার ভিন্নধর্মী এক পদক্ষেপ নিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে বিনিয়োগ ও জ্বালনী খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না।
শিল্পঘন দেশ হিসেবে চীনের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে এক্ষেত্রে জ্বালানী চাহিদা পূরণে যেমন বিপুল সংখ্যক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু আছে, তেমনি আছে কার্বন নিঃসরণের অনেক খাত।
এবার কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকারের নানা উদ্যোগের সঙ্গে যোগ হলো চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঋণ ও অর্থ লগ্নি বিষয়ক নীতিতে এমন কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যার প্রভাব ইতিবাচক পড়বে কার্বন নিঃসরণ বন্ধের উদ্যোগে।
পিপলস ব্যাংক অব চায়নার গভর্নর ইয়া গ্যাং জানান, এরইমধ্যে পরিবেশ সহায়ক বিশেষ ঋণ সুবিধা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ইয়া গ্যাং, গভর্নর, পিপলস ব্যাংক অব চায়না
“আমরা নতুন করে দু’টি বিশেষ সুবিধা চালু করেছি। একটা হলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর মতো বিষয়, যা পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানী সাশ্রয় ও পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। এর ফলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর মতো প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। অন্যটি হলো আরো পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব উপায় অবলম্বন করে কয়লা উৎপাদন করা। এখাতে আমরা বিশেষ ঋণ সুবিদা দিচ্ছি। মোট ৭টি খাতে আমরা এই ঋণ সুবিধা দেওয়া শুরু করেছি যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও জ্বালানী নিরপত্তায়। একইসঙ্গে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কার্বন নিঃসরণ কমাতে এ নীতি সহায়ক হবে।”
চলতি মাস থেকেই চীনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দ হচ্ছে বিশেষ ফান্ড। এই অর্থে নানা কার্যক্রম চালাবে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে পণ্যের বাজার ও সামাজিক মূলধন বাড়াতে কম কার্বন নিঃসরণ হয়ে এমন খাতের বিনিয়োগসহ কার্যক্রমে ভূমিকা রাখবে এসব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই গভর্নরের প্রত্যাশা, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে শূন্য কার্বন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেক সহজ হবে।
“প্রথম পর্যায়ের আর্থিক সহায়তা বিতরণ করা এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমাদের ধারনা, এই পদ্ধতি কার্যকর করা হলে বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা পরিবেশবান্ধব প্রকল্প নিতে উৎসাহিত হবে যেখানে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমে যাবে।”
২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানো ও ২০৬০ সালের মধ্যে এর পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব উদ্যোগ এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলেও মনে করেন তিনি।