থেনগ্রি
2022-01-04 09:28:53

থেনগ্রি ১৯৬০ সালের ১৫ জানুয়ারি ইনার মঙ্গোলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল ভূভাগের মঙ্গোলীয় জাতির কণ্ঠশিল্পী এবং জাতীয় প্রথম পর্যায়ের অভিনেতা। এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিশেষ সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত। তিনি জাতীয় পর্যায়ের মডেলকর্মীও বটে।

 

কেমন লেগেছে গানটি আপনাদের? নিশ্চয়ই ভাল লাগার কথা, তাইনা? ১৯৮৬ সালে তিনি ‘মঙ্গোলীয় মানুষ’ গানটির জন্য সঙ্গীত রচনা করেন এবং গানটি গেয়ে সুপরিচিত হন। একই বছর তিনি প্রথম একক অ্যালবাম ‘তুমি সূর্যের সঙ্গে ওঠো’ প্রকাশ করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি নিজেই গান রচনা করতে শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে থেনগ্রি একটি পপ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন।

 

থেনগ্রি’র পরিবারে মোট ৫ ভাই-বোন আছে। তাঁর বাবা-মা উভয়ই ভালো কণ্ঠের অধিকারী। যুবকালে তাঁরা স্থানীয় বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। এ ধরনের পরিবেশে থাকার কারণে থেনগ্রিও খুব ভালো নাচ-গান করতে শেখেন। এ ছাড়া সঙ্গীতের প্রতি তাঁর আগ্রহও ছিল ছোটবেলা থেকে। মঙ্গোলীয় ভাষায় থেনগ্রি শব্দিটি অর্থ হলো নীল আকাশ। এখন আমি তাঁর ‘স্বর্গ’ নামের গানটি আপনাদের শোনাতে চাই, কেমন? এটা তাঁর খুবই প্রতিনিধিত্বমূলক গান। 

 

১৯৯২ সালে তিনি থাইপেই-এ একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পর তাইওয়ানে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজনকারী প্রথম গায়ক তিনি। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে তিনি গ্রে উলফ ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে ব্যান্ডের প্রধান ও প্রধান গায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ‘একটি মঙ্গোলিয়ান গল্প’ নামক চলচ্চিত্রের সকল সঙ্গীত সৃষ্টি করেন এবং গান গেয়ে ১৯তম মন্ট্রিল বিশ্ব চলচ্চিত্র উত্সবে সেরা সঙ্গীত শিল্পীর পুরস্কার জিতে নেন। 

 

‘মঙ্গোলিয়ান হিরো’ আসলে একটি প্রাচীন মঙ্গোলীয় লোকসঙ্গীত।। গানটি পাশাপাশি একই নামের চলচ্চিত্রের থিম সংও। বর্তমানে সবচেয়ে বিখ্যাত মঙ্গোলীয় শিল্পী হিসেবে থেনগ্রি বলেন, স্থানীয় মঙ্গোলিয়ান হিসেবে মঙ্গোলিয়ান হিরোর প্রতি তাঁর বিশেষ সম্মান আছে। 

 

‘বাবা আর আমি’ গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন থেনগ্রি; তিনি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে তিনি গানটি সৃষ্টি করেন। সেসময় সঙ্গীতমহলে মা-এর প্রশংসা করা গানগুলি বাবা’র প্রশংসা করা গানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তখনকার অধিকাংশ গান বাবা’কে শ্রমিক, কৃষক বা সৈন্য হিসেবে বর্ণনা করা হতো। কিন্তু পুরুষদের হৃদয়ের বিশ্ব বর্ণনা করা এমন গান ছিল না। সেজন্য তিনি গানটি সৃষ্টি করে বাবা’র প্রতি ভাবাবেগ ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।  (প্রেমা/আলিম)