জাং কুওরোং ওরফে লেসলি ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। মূল ভূভাগের কুয়াংতোং প্রদেশের মেই সিয়ান জেলা তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। দশ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট। তিনি হংকংয়ের একজন জনপ্রিয় গায়িকা, অভিনেত্রী ও সুরকার।
১৯৭৭ সালে তিনি "আমেরিকান পাই" গানটি দিয়ে একটি প্রযোগিতার হংকং আঞ্চলিক রানার্স-আপ হয়ে শোবিজ জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি তাঁর প্রথম ইংরেজি অ্যালবাম ‘ডে ড্রিমিং’ প্রকাশ করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম একক ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম ‘প্রেমিকের তীর’ প্রকাশ করেন।
‘বাতাস বইতে থাকে’ গানটি লেসলির ১৯৮৩ সালের মে মাসে প্রকাশিত একই নামের অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। গানটি একটি চলচ্চিত্রের থিম সং-ও বটে। এটি লেসলি’র সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলি’র অন্যতম। ১৯৮৪ সালে তিনি ‘লেসলি’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত ‘মনিকা’ নামের গানটি অনেক পুরস্কার জিতেছে। পাশাপাশি, এ গান হংকংয়ের সঙ্গীতজগতে লেসলি’র অবস্থান শক্ত করে।
১৯৮৫ সালে লেসলি হংকং কলিসিয়ামে ধারাবাহিকভাবে ১০টি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং হংকং শিল্পী হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। একই বছর তিনি ক্যান্টোনিজ ভাষার অ্যালবাম ‘তোমাকে গভীরভাবে ভালবাসি’ প্রকাশ করেন। অ্যালবামের শিরোনামের গান জেড সলিড গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস উপস্থাপনা পুরস্কার এবং সেরা দশটি চীনা সোনার গান পুরস্কার জিতেছে।
‘বাতাস আবার বইছে’ লেসলির নিজের রচিত একটি গান। গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তিনি। গানটি তাঁর ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ‘ফাইনাল এনকাউন্টার’ নামের অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। সে বছর তিনি অস্থায়ীভাবে শোবিজ ত্যাগ করেন এবং তখনকার ‘চূড়ান্ত’ অ্যালবামের প্রধান গান হিসেবে প্রকাশিত হয়। অ্যালবামে বহু বছর ধরে শোবিজে তাঁর কষ্ট, অভিজ্ঞতা, অনুরাগীদের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবনের প্রতি শান্ত ও সহজ মনোভাব প্রকাশিত হয়।
লেসলি ‘নীরবতাই উত্কৃষ্ট পন্থা’ গানটির কথা লিখেছেন। এটা একটি ক্যান্টোনিজ ভাষার গান। সবচেয়ে আগে ১৯৮৮ সালে তিনি এবং হংকংয়ের অন্য একজন গায়ক স্যুই কুয়ানচিয়ে’র সঙ্গে গানটি গান। একই বছর দু’জন শিল্পী পরপর গানটির একক সংস্করণ রেকর্ড করেন। লেসলি’র একক সংস্করণ তাঁর ‘হট সামার’ নামক অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়।
‘আমি যা তা-ই আমি’ গানটির ক্যান্টোনিজ ও ম্যান্ডারিন দু’টো সংস্করণ আছে। দু’টো গান লেসলির ২০০০ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়। গানটি আসলে তিনি নিজের জীবনের মনোভাব প্রকাশ করার জন্য লিখেছেন। তিনি নিজেই গানের সঙ্গীত রচনা করেন। তিনি গানের শুরুর লিরিক্স লিখেছেন, তারপর বিখ্যাত পেশাদার গীতিকার লিন সি’কে জিজ্ঞাস করেন, ‘তুমি কী জানো এর পর আমি কী লিখতে চাই?’ লিন সি বাকি লিরিক্স শেষ করে লেসলি’কে দেখান। সত্যই লেসলি’র চাওয়া লিরিক্সগুলি লিখেছেন লিন সি। (প্রেমা/আলিম)