আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২
2021-12-16 15:18:27

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২

বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠান

কী থাকছে এবারের পর্বে

১. বিজয়ের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে: সাক্ষাৎকার নাসরীন নঈম

২. বিজয়ের অর্ধশতকে কতটা এগিয়েছে বাংলার নারী: বিশেষ রিপোর্ট

৩. মুক্তিযুদ্ধে  বাংলার বীর নারী: কথিকা

৪. রোকেয়া পদক পেলেন যারা

৫. চীনা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে বাংলা গান

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি ভালো আছেন। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীতে আজকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে সবাইকে জানাই লাল-সবুজের দীপ্ত শুভেচ্ছা।

সাক্ষাৎকার:

বিজয়ের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে: নাসরীন নঈম

 

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n1

আমাদের আজকের অতিথি প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও লেখক নাসরীন নঈম। তার কাছ থেকে আমরা শুনবো বিজয়ের গল্প। আমাদের অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বাগত জানাই।

নাসরীন নঈম মনে করেন বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মহান ঘটনা মুক্তিযুদ্ধ ছিল বহু প্রত্যাশিত । কারণ এদেশের প্রতিটি মানুষ মনেপ্রাণে চেয়েছিল স্বাধীনতা। বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছিল।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নাসরীন নঈম উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী ছিলেন। তার ছোট ভাই মুক্তিযুদ্ধে যান। তার দু’জন চাচাতো ভাইও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যুদ্ধে তার একজন চাচাতো ভাই শহীদ হন।

মুক্তিযোদ্ধা ছোটভাই যখন খুব গোপনে রাতের অন্ধকারে বাড়ি আসতেন, নাসরীন তার জন্য লুকিয়ে দরজা খুলে  দিতেন, খাবারের ব্যবস্থা করতেন, অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন। বিভিন্ন জায়গায় খবর পৌঁছে দিয়েও সহায়তা করেছেন।

নাসরীন নঈম বলেন, বাংলাদেশের নারীরা অস্ত্রহাতে অনেকেই রণাঙ্গনে গেলেও পুরুষের তুলনায় সম্মুখ সমরে তারা কম অংশ নিয়েছেন। কিন্তু গেরিলা যুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণই ছিল বেশি। মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য সরবরাহ করা, অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, খবর আদান প্রদান করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো নারীরা করেছেন।

নাসরীন নঈম মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিচারণ করেন। পরিবারের সঙ্গে নৌকা দিয়ে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার সময় বুড়িগঙগা নদীতে দেখেছেন অসংখ্য ভাসমান মৃতদেহ। গণহত্যার নির্মম দৃশ্য তাকে অসুস্থ করে তুলেছিল। নিজেদের বাড়িতে অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। বিজয়ের আনন্দ দেখেছেন।

নাসরীন নঈম দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ঢাকার নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। তার ছাত্রীদের তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত করেছেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

তিনি মনে করেন নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিজয় দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। বিজয়ের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।  শহীদদের, মুত্তিযোদ্ধাদের, নির্যাতনের শিকার নারীদের অনেক আত্মত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ, প্রিয় মানচিত্র ও প্রাণপ্রিয় লাল সবুজ পতাকা। এই গৌরবকে হৃদয়ে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে।

নাসরীন নঈম তার লেখা গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় মুক্তিযুদ্ধকে চিত্রিত করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি তার লেখা বিজয়ের কবিতা পাঠ করে শোনান।

 

বিজয়ের অর্ধশতকে কতটা এগিয়েছে বাংলার নারী

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n2

 

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। অবলীলায় বলা যায়, সার্বিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে। অর্ধশতকের পথ চলায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। দেশের সর্বত্র সমানভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে নারীরা। এ সুদীর্ঘ সময়ে নারীদের অবস্থান এক ঝলকে তুলে ধরছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিবেদক।

এক আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ। ৫০ বছরের পথচলায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন স্থান করে নিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়।গত ৫০ বছরের পথ চলায় দেশের সর্বত্র নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। নারীরা বেরিয়েছেন ঘর থেকে। পৌঁছে গেছেন বিমানের ককপিট থেকে পর্বতশৃঙ্গে। বাংলাদেশই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা অর্জন করেছে। গত ৫০ বছরে এ দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা অবদান রেখেছে। বিশেষ করে নারী তার শ্রমের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে। নারীর শ্রমের একটি বিশাল অংশই শ্রমবাজারের পরিসংখ্যানের বাইরে থেকে যায়। কারণ নারী তার দিনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করে, যার কোনো সামাজিক স্বীকৃতি বা অর্থনৈতিক মূল্যায়ন হয় না।যদিও গত ৫০ বছরে এর মূল্যমান হিসাব করলেই বোঝা যায় অর্থনীতিতে এ ধরনের কাজের গুরুত্ব কতটা ব্যাপক। নারীর অবদান বিশ্লেষণ করতে চাইলে স্বীকৃত ও অস্বীকৃত উভয় প্রকার অবদানকেই বিবেচনায় আনা জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

 

মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বীর নারী

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n3.jpg

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n4

 

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন এদেশের নারীরা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বীর নারীদের অবদান নিয়ে এখন রয়েছে একটি বিশেষ কথিকা।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এদেশের সকল শ্রেণি, পেশা, অবস্থানের মানুষের সার্বিক জনযুদ্ধ ছিল। এ যুদ্ধে নারী পুরুষ উভয়েই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে। কিন্তু এই জনযুদ্ধে নারীর কৃতিত্বের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। একাত্তরে হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যরা তিন লাখ নারীকে ধর্ষণ করেছে, বন্দি শিবিরে আটকে রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করেছে এবং অসংখ্য নারীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তবুও তারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেননি। অনেকে জীবন দিয়েছেন তবু প্রকাশ করেননি মুক্তিযোদ্ধা স্বামী, ভাই, বাবা বা অন্যদের পরিচয়।

 

আবার অনেক নারী অস্ত্রহাতে যুদ্ধও করেছেন রণাঙ্গনে। শিরিন বানু মিতিল, তারামন বিবি, কাঁকন বিবি এমনই বীর নারীদের মতো আরও অনেকে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে  তাদের পরিচয় সেভাবে সামনে আসেনি।

 

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল গেরিলা অপারেশনের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। যুদ্ধের খবর আদান প্রদান, অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া, যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখা, বাড়িতে আশ্রয় দান, খাবার রান্না করে দেওয়া, পাকিস্তানিদের গতিবিধির খবর জোগাড় করা এসবই ছিল মুক্তিযুদ্ধের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশটির সিংহভাগ করেছিলেন নারীরা। তারা এই ভূমিকা পালন করেছিলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, চরম নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা নিয়েই।

 

 মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার সরবরাহ করা, অস্ত্র ও গোপন সংবাদ পৌঁছে দেওয়া এই প্রতিটি ভূমিকার জন্য অসংখ্য বাঙালি নারীকে পাকিবাহিনী হত্যা করেছে, ক্যাম্পে নিয়ে ধর্ষণ ও চরম নির্যাতন করেছে। কিন্তু নারীর এই বীরত্বের জন্য স্বাধীন দেশে তাঁকে তেমন কোনো স্বীকৃতিই দেওয়া হয়নি।

 

শরণার্থী শিবিরে অসুস্থদেরও সেবা দিয়েছেন নারী। ডা. সেতারা বীরপ্রতীক খেতাব পেলেও অন্য নারীরা কিন্তু কিছুই পাননি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রেও নমিতা ঘোষ, বুলবুল মহলানবীশসহ অনেক নারী কণ্ঠসৈনিক ছিলেন। তাদেরও রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।

 

শাহিন সামাদ, লুবনা মরিয়মসহ বেশ ক’জন নারী পুরুষ একটি ট্রাকে করে মুক্তাঞ্চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা দিয়েছেন। প্রেরণা দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন যুদ্ধে যাওয়ার জন্য। বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বমতামত গড়ে তোলার জন্য যে প্রবাসী বাঙালিরা কাজ করেছেন তাদের মধ্যেও ছিলেন অনেক নারী। আতিয়া বাগমার, নূরজাহান মুরশিদসহ এই নারীরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন, জনমত গঠন করেছেন।

 

মুক্তিযুদ্ধে যে নারীরা পাকিস্তানি বর্বরদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন পরবর্তিতে সবচেয়ে বেশি সামাজিক বৈরিতার শিকার হয়েছিলেন তারাই। ক্যাম্পে আটক একজন পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার মতো একজন নারী মুক্তিযোদ্ধাও একইভাবে শারীরিক মানসিক চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তি কালে পুরুষযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেলেও নারীকে দেওয়া হয়নি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। বরং তাকে ‘অচ্ছুত’, ‘সম্ভ্রম হারানো’ ইত্যাদি ভাবে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। অনেক নিপীড়িত নারী দেশ ছেড়ে চলে যেতেও বাধ্য হন।

 

যুদ্ধে নির্যাতনের শিকার  নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে অপেক্ষা করতে হয় চার দশকেরও বেশি সময়। তবে সকলে এখনও এই স্বীকৃতি পাননি। এই নারীরা বীরযোদ্ধা। তাদের যথাযথ সম্মান জানাতে হবে, স্বীকৃতি দিতে হবে। এবং তাদের বিভিন্ন সহায়তাও দিতে হবে। তাদের আত্মত্যাগের কথা প্রচার করতে হবে গৌরব সহকারে। তারা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। তারা মুক্তিযুদ্ধের বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা।

 

 

রোকেয়া পদক পেলেন যারা

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n5

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n6

 

উপমহাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এ বছরও প্রদান করা হয়েছে রোকেয়া পদক।

পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- নারী শিক্ষার জন্য অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া (বেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর), নারী শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী বিপ্লবের জন্য অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং পল্লী উন্নয়নের জন্য ড. সারিয়া সুলতানা।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আইনের পাশাপাশি মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান অংশগ্রহণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

 

গান

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n7

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫২_fororder_n8

 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রয়েছে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর ও ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত, পুরনো সেই দিনের কথা।  এই গানটির সঙ্গেই শেষ হচ্ছে

আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের বিজয় দিবসের বিশেষ আয়োজন। আবার দেখা হবে চাই চিয়েন।

 

 

 

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

বিজয়ের অর্ধশতকে কতটা এগিয়েছে বাংলার নারী বিষয়ক প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী

মুক্তিযুদ্ধে বাংলার বীর নারী  এবং রোকেয়া পদকপ্রাপ্তদের বিষয়ে প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী