থান ইয়োং লিন সঙ্গীত জগতে অ্যালান ট্যাম নামেও সমধিক পরিচিত। তিনি ১৯৫০ সালের ২৩ অগাস্টে চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের মূল-ভূভাগের কুয়াংতোং প্রদেশের চিয়াংমেন শহরের সিনহুই এলাকা তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। তিনি হংকংয়ের একজন জনপ্রিয় গায়ক, অভিনেতা ও সুরকার। ১৯৬৮ সালে তিনি লুজার্স নামের একটি সঙ্গীতদলে যোগ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজে প্রবেশ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি উইন্নার্স সঙ্গীতদলের প্রধান গায়ক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি একা পথ চলা শুরু করেন।
১৯৭৯ সালে চলচ্চিত্র ব্রত উন্নয়নের জন্য তিনি তাইওয়ানে যান। একই বছর তিনি হংকংয়ে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি পর পর ‘ভালোবাসার কুয়াশা’, ‘ভালোবাসার মূল’ এবং ‘প্রেমের ফাঁদ’ নামে তিনটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। তিনটি অ্যালবাম ‘প্রেমের ট্রিলোজি’ বলে পরিচিত। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি টানা চার বছর জেড সলিড গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস উপস্থাপনায় সেরা পুরুষ গায়ক পুরস্কার জিতেন।
কেমন লেগেছে গানটি? নিশ্চয়ই ভালো লাগার কথা, তাইনা? ‘জলে ফুল’ অ্যালান ১৯৮৮ সালের অগাস্টে প্রকাশিত ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম ‘আলিঙ্গন’-এ অন্তর্ভূক্ত একটি গান। গানটির ম্যান্ডারিন সংস্করণও আছে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ম্যান্ডারিন অ্যালবাম ‘হৃত্পিণ্ডের হাত একসাথে যুক্ত’-এ অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৯১ সালে তিনি সিসিটিভি’র বসন্ত উত্সব গালায় গানটির ম্যান্ডারিন সংস্করণ পরিবেশন করেন। তখন থেকে গানটি মূল-ভূভাগে অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯৯৪ সালে অ্যালান প্রকাশিত ‘বিদায় বলতে পারি না’ তাঁর সঙ্গীত ক্যারিয়ার প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্প-কর্মে পরিণত হয়। ১৯৯৬ সালে তিনি হংকং সঙ্গীত জগতে সর্বোচ্চ সম্মান ‘দ্য গোল্ডেন নিডল অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার জিতেন। এ ছাড়া ২০০৩ সালে তিনি টপ চায়নিজ মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আজীবন সম্মাননা জিতেন।
শোবিজ ছাড়াও তিনি দাতব্য কাজে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সালে তিনি ‘হংকং তারকা ফুটবল দল’ গঠন করেন। দলটি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দাতব্য প্রতিযোগিতা ও তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম করে। ২০০৮ সালে তিনি অষ্টম হংকং পারফর্মিং আর্টিস্টস গিল্ডের প্রধান পদ ধরে রাখেন। একই বছর তিনি হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকারের সম্মাননা পদক পান। বন্ধুরা, তাঁর জনপ্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি খুবই জনপ্রিয় গানের নাম ‘বন্ধু’। (প্রেমা/এনাম)