সাজিদ রাজু, ঢাকা: শত বছরের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম উপাদান মাশরুম। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মানেই মাশরুম যেন খাবার তালিকায় নিত্য ঠাঁই পায়। চীনজুড়ে তাই মাশরুমের ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মাশরুম ফার্মগুলোতে কাজের সুযোগ হচ্ছে বহু মানুষের।
মনে হবে, সুতোয় গেথে রাখা সাদা শুভ্র ফুল। সারি সারি মালা করে শুকানো হচ্ছে রোদে। অনিন্দ্য সুন্দরের বাগান যেন।
তবে কেবলই চোখের শান্তি নয়, পেটের ক্ষুধাও মিটবে এই মাশরুম ফার্ম থেকে। হোয়াইট ট্রি মাশরুমের এসব ফার্ম যেমন একদিকে মেটায় পুষ্টির চাহিদা অন্যদিকে এখানেই হয় বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা।
চীনের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুইচৌতে চোখে পড়বে সারি করে স্থাপন করা শতশত মাশরুম ফার্ম। কৃষকরা বলছেন, আবহাওয়া আর উপযুক্ত পরিচর্যায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে মাশরুমের। এখানকার এক নারী কর্মী বলছেন, তাদের আয় বেড়েছে বহুগুণ।
“মৌসুম শুরু হওয়ার পর এখানে কাজ শুরু করি। প্রতিদিন প্রায় ৮০-৯০ ইউয়ান আয় করি আমি, এতে মাসে প্রায় আড়াই হাজার ইউয়ান হয়ে যায়। আমার জন্য এটা বেশ ভালো কারণ কাজের পাশাপাশি পরিবারের কাছাকাছিও থাকা যায়।“
হোয়াইট ট্রি জাতের মাশরুমের আছে ওষুধি ব্যবহারও। শত শত বছরের চীনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে মাশরুমের বহুল ব্যবহারে এর কদরও ব্যাপক। বিশেষ করে তন্তুময় এসব মাশরুম ব্যবহারে মস্তিস্ক, হৃদরোগ ও ত্বকের চিকিৎসা এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় খুব কার্যকর।
প্রদেশের তোংগ্রিন শহরের মাশরুম ফার্মের একজন উদ্যোক্তা সান ইউমিং। তিনি বলছেন, মৌসুমে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় তাদের। শেষ করে বিশেষ এক ধরনের ঘরের মধ্যে খাওয়ার জন্য যেসব মাশরুম চাষ করা হয়, সেসব শুকাতে খুব ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের।
সান ইউমিং
“মৌসুমের প্রথম দফায় মাশরুম তোলা হচ্ছে এখন। এখানে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ব্যাগ ফাংগাস পাওয়া যাবে। যদিও এক ব্যাগ ফাংগাস শুকানোর পর তা অনেক কমে যায়, এরপরও যা থাকবে সেটাও আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক।“
প্রাদেশিক সরকারের তথ্য বলছে, এই অঞ্চলে ৭ হেক্টরের বেশি জমিতে বর্তমানে মাশরুম চাষ হয়, যার বাজার মূল্য ১৫ মিলিয়ন ইউয়ান বা ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান।