ডিসেম্বর ৮: হংকংয়ের শৃঙ্খলা নষ্টকারী সন্দেহভাজন লুও কুয়ান ছং সম্প্রতি জানায়, সে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে তথাকথিত ‘গণতন্ত্র শীর্ষসম্মেলনে’ ভাষণ দেবে। এক পলাতক সন্দেহভাজনকে অতিথির মর্যাদা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ আচরণ মানুষকে আঘাত করেছে। এতে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র আসলে গণতন্ত্রের নামে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। এতে মার্কিন গণতন্ত্রের ভণ্ডামি ও দ্বৈতনীতি বোঝা যায়। সিআরআই সম্পাদকীয় এসব কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান কর্তৃপক্ষকেও তথাকথিত সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এতে চীনকে প্রতিরোধে তাইওয়ানকে ব্যবহার করা ও চীনবিরোধী এবং হংকংয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সুস্পষ্ট হয়েছে। কিছু বিশ্লেষক জানান, যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতন্ত্র শীর্ষসম্মেলনের’ মাধ্যমে আদর্শিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়। যাতে নতুন মার্কিন ব্যবস্থার জন্ম হয় এবং চীনকে বিচ্ছিন্ন ও দমন করা যায়।
তবে, এ ধরনের ষড়যন্ত্র অবশ্যই সফল হবে না। বাস্তবতা প্রমাণ করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের পতাকা ধারণ করলেও তা মূলত নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র কখনও হংকংয়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয় না।
বর্তমান হংকং স্থিতিশীল রয়েছে। হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন হংকংবাসীদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করেছে। গণতন্ত্রের নামে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী কর্মকাণ্ড অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)