ডিসেম্বর ১: গত অগাষ্টে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিদেশি যৌথ বাহিনী কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালায়। এতে বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামারাই কুরবানজাদার নিরপরাধ ছেলেও হামলায় নিহত হন।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ সম্প্রতি বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’ আয়োজন নির্লজ্জতার বহিঃপ্রকাশ। বিমানবন্দরে হামলায় নিহতদের পরিবারবর্গকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর সাহস কি মার্কিন রাজনীতিবিদদের আছে?
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে কুড়ি বছর ধরে তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। অথচ আফগানিস্তানের নাম এবারের ‘গণতন্ত্র সম্মেলনে’ আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকায় নেই! কী হাস্যকর ব্যাপার! যুক্তরাষ্ট্রের চোখে গণতন্ত্র মানে অন্য দেশে সামরিক হস্তক্ষেপ করা!
যুক্তরাষ্ট্রের চীন-মার্কিন গবেষণালয়ের গবেষক সৌরভ গুপ্তা সম্প্রতি যথার্থই বলেছেন যে, এবারের সম্মেলন আন্তর্জাতিক সমাজে বিভেদ সৃষ্টির অপপ্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)