ডিসেম্বর ১: কয়েক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’ আয়োজিত হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর তালিকায় লিথুয়ানিয়ার নাম আছে। অথচ দেশটির মানবাধিকার রেকর্ড খুবই খারাপ।
বিদেশি গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, সম্প্রতি লিথুয়ানিয়া ও বেলারুশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল রীতিমতো জাহান্নামে পরিণত হয়। এখানে লেলিয়ে দেওয়া লিথুয়ানিয়ান সামরিক কুকুর শরণার্থীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। পরে দু’জন শরণার্থীর মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়।
এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সমাজ হতবাক হয়। তবে এটি লিথুয়ানিয়ার মানবাধিকার-সমস্যাগুলোর মাত্র একটি দিক। এখনও লিথুয়ানিয়ায় ইহুদি ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা চরম বৈষম্যের শিকার। তাঁরা চিকিত্সা ও ভ্রমণের অধিকার থেকে বঞ্চিত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিথুয়ানিয়ার ইহুদিদের আবাসস্থলের লোকসংখ্যা ৪ হাজার জনে নেমে এসেছে। ২০১৮ সালে ইউরোপের মানবাধিকার আদালত এই মর্মে রায় দেয় যে, লিথুয়ানিয়া সিআইএ-কে নিজের মাটিতে গোপন কারাগার স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে; দেশটি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী; এবং এখানে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
বস্তুত, লিথুয়ানিয়ার অপরাধ ‘ইউরোপীয় মানবাধিকার সনদ’ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এ ধরনের দেশ তথাকথিত ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’-এ অংশ নেবে! এ ‘গণতন্ত্র সম্মেলন’ কোনো বিশেষ তাত্পর্য বহন করে কি? (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)