২০২০ সালে চীনের পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের পরিমাণ সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ছিল। পণ্য-বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১৫ সালের ৩.৯৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ৪.৬৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। সম্প্রতি চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
২০২০ সালের শুরু থেকে এখনো সারা বিশ্বে করোনা মহামারির ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রয়েছে। ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের অনিশ্চয়তা বেড়েই চলছে। তা সত্ত্বেও চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। নেতিবাচক পরিস্থিতিতে চীনের এমন ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সারা বিশ্বকে নতুন সবক দিয়েছে।
উন্মুক্তকরণ ও জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে বৈদেশিক বাণিজ্যের উচ্চ মানের উন্নয়নের জন্য নীতি সমর্থন দরকার। তাই চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘চতুর্থদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা’ চলাকালে বৈদেশিক বাণিজ্যের উচ্চ মানের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে চীন বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন রোডম্যাপ তৈরি করেছে। তাতে ১০টি বিষয়ের ৪৫টি কর্তব্য ও ৬টি সহায়ক ব্যবস্থা উত্থাপন করা হয়। যেমন: আমাদানি শুল্ক কমানো, আমাদানি মেলাসহ বাণিজ্য প্রচার প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো, অবাধ বাণিজ্য বন্দর ও অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা জোরদার করা ইত্যাদি।
তার মানে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কেবল চীনের কল্যান নয়, বরং আমরা আশা করি, চীনা বাজার উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে সারা বিশ্ব সুযোগ পাবে। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ রপ্তানি পণ্যের ওপর শূন্য শুল্ক নীতি চালু করেছে চীন। আশা করা যায়, চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা ও ক্যান্টন ফেয়ারের মতো বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম ও চীন সরকারের সমর্থনে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য চীনে প্রবেশ করবে। আমার প্রিয় বাংলাদেশের কাঁঠাল ও আম, পাটজাত পণ্যসহ ভালো পণ্য চীনের ভোক্তাদের হাতে পৌঁছাতে পারবে। তাতে দুদেশের মানুষ একসাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধা ও সুযোগ উপভোগ করতে পারবে। (শিশির/এনাম/রুবি)