ছেন সিও মোং
পেশায় অভিনেতা;
বয়স: ৩৫ বছর
এর বাইরে আর দেয়ার মত কোন পরিচয় নেই তার। ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থ একজন মানুষ তিনি। জীবনে অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
ইনি চৌ ছুয়েন
পেশাঃ আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনি।
ব্যক্তিগত জীবনে একজন সফল, স্মার্ট ও ধনী ব্যক্তি।
চারিদিকে নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়লেও তার চেহারা কেউ দেখেনি এখনো।
হতাশ মোং আবারও সিদ্ধান্ত নিলেন আত্মহত্যার। জীবনের শেষ গোসলে এসে মুখোমুখি ছুয়েনের।
গণস্নানাগারে বীরদর্পে গোসলে আসেন প্রভাবশালী ছুয়েন। সাবানে পা দিয়ে ফ্লোরে পড়েই জ্ঞান হারান তিনি।
দুর্ভাগ্যক্রমে তার লকারের কার্ড চলে যায় মোংয়ের কাছে।
নিজের পরিচয় পরিবর্তন করার এই সুযোগ মিস করলেন না মোং। কারণ এই লকারের কার্ডটি হলো প্রত্যেকের ব্যক্তিগত আলমারি খোলার চাবি।
মোং এখন হয়ে গেলেন চৌ ছুয়েনের পরিচয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রভাবশালী ডন। পেয়ে গেল বিলাসবহুল বাড়ি , দামী গাড়ি- বিলাসী এক জীবন ।
অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে ফিরে চৌ ছুয়েন নিজেকে আবিষ্কার করলেন নোংরা একটি বাড়িতে। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারনে পুরনো সব স্মৃতি হারিয়ে গেছে তার।
স্মৃতিশক্তি হারালেও ব্যাক্তিগত অভ্যাস পরিবর্তন হয়নি ছুয়েনের। নিজে থেক বাড়ি পরিষ্কার করা, নিজেরও যত্ন নেয়া। নিজেকে অভিনয় শিল্পী হিসেবে ভালোভাবে প্রস্তুত করা, নিজের খরচের জন্য একটি পার্ট টাইম চাকরি খুঁজে নেয়া- সবই দ্রুত করে ফেললেন ছুয়েন।
খুব অল্প সময়ে তার এই পরিবর্তন অবাক করে দেয় প্রতিবেশীদের। এত ভালো একজন মানুষের জীবন আগে কেন এত ব্যর্থ ছিল?
এদিকে বিলাসি জীবন পেয়েও মোং- চৌ ছুয়েনের জীবন ধারায় নিজেকে খাপখাইয়ে নিতে পারছিলেন না।। অলস জীবনে অভ্যস্ত মোং এর জীবন ধারা আবারও খারাপ হতে শুরু করলো।
হঠাৎ একদিন প্রকাশ পেল আন্ডারওয়ার্ল্ডের খুনি চৌ ছুয়েনের ছবি।আর সেখানেই মোং নিজেকে আবিষ্কার করলেন।
পুলিশের কাছে অপরাধী মোং এখন কি করবে? চৌ ছুয়েনেরই সর্বশেষ অবস্থা কি ছিল ? সব কিছু জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে পুরো সিনেমাটি ।
একটি জাপানি চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত সিনেমাটি সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জিতে নেয় জাপানের ‘অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে