ইয়াং ছিয়ান হুয়া ১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের শানথৌ শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান। তিনি হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন। তিনি নার্সিং স্কুলে লেখাপড়া করেন এবং এক সময় নার্স হিসেবে কাজ করেন।
১৯৯৫ সালে তিনি নার্সের চাকরি ছেড়ে টিভিবি’র ১৪তম আন্তর্জাতিক চীনা নতুন সংগীত প্রতিভা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ-আপ হন। তারপরেই তিনি শোবিজে প্রবেশ করেন।
২০০০ সালে ইয়াং ছিয়ান হুয়া ‘প্লে ইট লাউড, কিস মি সফট’ গানটি দিয়ে হংকংয়ের সঙ্গীত জগতে চারটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেন। ২০০২ সালে তিনি ‘মরিয়মের মিউজিক বক্স’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের একটি গান ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমার কুম্ভ রাশি’ তাঁর প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্প-কর্মগুলোর অন্যতমে পরিণত হয়। ফলে তিনি ২০০২, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে তিনবার জেড সলিড গোল্ড অ্যাওয়ার্ডস প্রেজেন্টেশনে সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকার পুরস্কার জিতেন।
‘বন্য শিশু’ ইয়াং ছিয়ানহুয়া’র একটি ক্যান্টোনিজ ভাষার গান। গানটি তাঁর ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ‘মরিয়ম’ অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। অ্যালবামে মোট ১১টি ক্যান্টোনিজ গান ছিল। নতুন রেকর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এটি তাঁর প্রথম অ্যালবাম।
‘সর্বত্র চুম্বন দাও’ গানটি ছিয়ান হুয়ার ২০০৪ সালের জুন মাসে ইএমআই কোম্পানি প্রকাশিত অ্যালবাম ‘বৈদ্যুতিক মেয়ে’তে অন্তর্ভুক্ত হয়। পাশাপাশি সিনেপলি রেকর্ড কোম্পানির ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত ‘সিম্পলি মি’তেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। গানটি একটি বিজ্ঞাপনের থিম সংও বটে।
‘সহজাত প্রবৃত্তি’ ছিয়ান হুয়ার ১৯৯৭ সালের জুন মাসে প্রকাশিত একটি ক্যান্টোনিজ অ্যালবাম। অ্যালবামে মোট ১১টি গান ছিল। ‘দীর্ঘ বন্ধুত্ব’ অ্যালবামের একটি জনপ্রিয় গান। নাম শুনে গানটির বিষয় বোঝা যায়, কিন্তু আসলে প্রেমিক ও বন্ধুর মধ্যে কোনটা আগে, সেটাই গানে বলা হয়েছে। (প্রেমা/এনাম)