নভেম্বর ১৯: চীনের দৃঢ় বিরোধিতা উপেক্ষা করে সম্প্রতি লিথুয়ানিয়া তার ভূখন্ডে তাইওয়ান কতৃপক্ষের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। লিথুয়ানিয়া এই মন্দ আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ্যে একচীন নীতি লঙ্ঘন করেছে, চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে, এবং দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সময় প্রকাশিত ইস্তাহারে প্রদত্ত রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পরিত্যাগ করেছে।
চীন নিজ দেশের স্বার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখন্ডতা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ও যথাযথ সব ব্যবস্থা নেবে। লিথুয়ানিয়াকে এর ফল ভোগ করতে হবে। দু’দেশের ১৯৯১ সালে স্বাক্ষরিত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ইস্তাহার অনুসারে, লিথুয়ানিয়া স্পষ্টভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে চীনের একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তাইওয়ানকে চীনা ভূখন্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও স্বীকার করে। পাশাপাশি, লিথুয়ানিয়া তাইওয়ানের সাথে সরকারি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে না এবং সরকারি আদান-প্রদান করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। লিথুয়ানিয়া ইইউ’র সদস্য দেশ হিসেবেও তাকে এক-চীন নীতি সম্পর্কে চীন-ইউউ মতৈক্য মেনে চলতে হবে।
তাইওয়ান বিষয় হচ্ছে চীনের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। লিথুয়ানিয়া যা করেছে, তা ‘তাইওয়ান প্রণালীর দু’পার মিলে একচীন’ বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারবে না। তাইওয়ান প্রণালীর দুপারের একীকরণের ঐতিহাসিক প্রবণতাকে বাধা দিতে পারবে না। তা কেবল লিথুয়ানিয়ার নিজের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তাই লিথুয়ানিয়াকে তার ভুল সিদ্ধান্ত শিগগিরই পরিবর্তন করতে হবে। নইলে তাকে অত্যন্ত গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)