ঢাকা, হাবিবুর রহমান অভি: চালকবিহীন গাড়ি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে। নতুন এ চমক এনেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ইউসি টেকনোলজি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে, দুর্ঘটনা এড়িয়ে আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য এসব গাড়িই হবে আগামী দিনের নির্ভরতার প্রতীক।
গাড়িতে উঠে দেখলেন ড্রাইভার নেই, চলছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় যেতে চান, ম্যাপ-এ সেট করে দিলেই নিজে থেকেই যাত্রা শুরু করবে গাড়িটি। আর ঠিক সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দেবে আপনাকে।
পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থানে জায়গা করে নেবে নিজে থেকেই । আর অপেক্ষা করবে আপনার জন্য, নতুন কোন গন্তব্যে রওনা হতে। বিশেষ মডিউলে তৈরি এসব গাড়ি এখন প্রায়সময় দেখা মিলছে চীনের রাস্তায়। ব্যবহারকারীরা বলছেন, চালকহীন এ গাড়িগুলো জটিলতা ছাড়াই বেশ ভালো গতি নিয়ে চলতে পারে রাস্তায়।
প্রযুক্তিবিদদের মতে, এটি শুধু একটি গাড়ি নয়, চার চাকার রোবটিক মডিউল। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউসি টেকনোলজির কর্মকর্তারা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মতে, “তথ্যপ্রযুক্তির এই বিশ্বে ড্রাইভিং অনেকের কাছেই এখন কান্তিকর। অনেকসময় নিজেকে মেটালিক বক্সে আবদ্ধ মনে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে গিয়ে বেশ বিরক্তি আসে। ঘটে দুর্ঘটনাও। এসব সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে চালকহীন গাড়ি।“
কর্পোরেট দুনিয়ায় অসম্ভব ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে সবার। অনেকে অফিসে পৌঁছানোর আগেই সারাদিনের কাজের তালিকা প্রস্তুত করতে চান। তাদের জন্যও আছে চমক।
গাড়ি প্রেমীরা বলছেন, “এসব গাড়ির ভেতরে মুখোমুখি বসে কথা বলার ব্যবস্থা আছে। মনোরম পরিবেশে বন্ধুদের সঙ্গে জমপেশ আড্ডা দেয়ার ক্ষেত্রেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসব অটোমেটেড গাড়ি। চলতে চলতে সেরে ফেলা যায় গুরত্বপূর্ণ সব আলোচনাও।“
বেইজিংয়ে ছিং লং লেক ফরেস্ট পার্কের এই এক্সিবিশানে এসে রীতিমত মুগ্ধ গাড়িপ্রেমীরা।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির পর্দা নামায় চীনা প্রতিষ্ঠান ইউসি টেকনোলজি। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিশ্ব বাজারে আনে নতুনত্ব। সেই থেকে প্রতিনিয়ত গাড়ি মেলার আয়োজন হয়।
শুধু সড়ক, মহাসড়কে নয়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নানা জায়গায় ব্যবহারউপযোগী গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।