জনগণের ‘লাইক’ দেওয়া জীবন কেমন
2021-11-16 15:56:19

 সুন্দর জীবন হল মানবজাতির অভিন্ন প্রত্যাশা। যা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রামের মূল লক্ষ্য। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উল্লেখ করেছিলেন: সুন্দর জীবন সম্বন্ধে জনগণের প্রত্যাশা হল আমাদের সংগ্রামের লক্ষ্য। এখন দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের জীবনযাপনের উন্নত মান নিশ্চিত করা হয়েছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রের পরিবর্তন, প্রত্যেক চীনাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। লোকজন অনুভব করছে যে- জীবন আরো সুবিধাজনক হয়ে উঠছে, পরিবেশ আরো সুন্দর হচ্ছে।

 

জীবনমান উন্নয়ন জনগণের বসবাসের পরিবেশের উন্নয়ন বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায়। চীনের বিভিন্ন স্থানের প্রাকৃতিক সুন্দর পরিবেশ নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে আবাসিক এলাকায় নতুন করে অনেক উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে, কমিউনিটির পরিবেশ আরো সুন্দর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণের সুখানুভূতি আরো বেড়েছে।

 

ফেং ইউয়ান ফা চীনের হুপেই প্রদেশের উহান শহরের চিয়াং চুন রাস্তার একজন বাসিন্দা। অবসরের পর তিনি বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছোট ব্যান্ডদল গঠন করেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি কমিউনিটির আশেপাশের ‘পকেট পার্কের’ জন্য ‘লাইক’ দিতে চান। আগে তাঁরা সংগীতচর্চা করার জন্য বাসে করে ৩৫ মিনিট দূরত্বে যেতে হতো। এখন বাসার সামনে পকেট পার্ক তৈরি হয়েছে, তারা হেঁটে হেঁটে কয়েক মিনিটেই পার্কে পৌঁছে যান এবং চর্চা করেন। এতে করে সময় ও খরচ অনেক সাশ্রয় হয়েছে।

 

 জীবনমানের উন্নয়ন গ্রামীণ অবকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন থেকেই বোঝা যায়। সড়ক যোগাযোগ অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত, জনগণের সুন্দর জীবনের সঙ্গেও জড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। যা ব্যাপক মানুষের দারিদ্রবিমোচন ও সচ্ছল জীবনের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে।

 

হু নান প্রদেশের চুং চৌ গ্রামের অধিবাসী লিউ মেই ইয়ু বলেন, তিনি গ্রামের নান সুই সেতুর জন্য ‘লাইক’ দিতে চান। চুং চৌ গ্রামের তিন দিকেই নদী। আগে সড়ক যোগাযোগ অবস্থা খুব অসুবিধাজনক ছিল। গ্রামে কোনো শিল্পও ছিল না। দেশের দারিদ্র্যবিমোচন নীতির আওতায় গ্রাম থেকে বাইরে যাওয়ার সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, সড়কও তৈরি হয়েছে।

 

সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার পাশাপাশি গ্রামে আধুনিক কৃষি ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। জাম্বুরা চাষের মাধ্যমে কৃষকদের আয় অনেক বেড়েছে। নতুন সড়কের মাধ্যমে তাদের জাম্বুরা আরো দূরবর্তী স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।

জীবনমান উন্নয়ন বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতির প্রতি আস্থা বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায়।
 

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছিলেন, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষা মানে মানবজাতির সংস্কৃতির উত্তরাধিকার রক্ষা। সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার রক্ষার মাধ্যমে চীনের বিভিন্ন জাতির জনগণের জাতীয় চেতনা এবং বৈজ্ঞানিক গুণগতমানের ভিত্তি রক্ষা করা যায়।

চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের শিল্প পেশাদার প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, পোশাক ডিজাইনার ছেং ইং ফেন বলেন, তিনি দেশের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ কাজকে ‘লাইক’ দিতে চান। তিনি বহু বছর ধরে দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার–সিনচিয়াং উইগুর জাতির বৈশিষ্ট্যময় আটলাস রেশম বোনা ও রঞ্জক  প্রযুক্তি রক্ষা নিয়ে কাজ করছেন।

 

তিনি বলেন, সরকার জনগণকে এই শিল্প সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করেছে। সরকারের চেষ্টায় একদিকে লোকজনের সাংস্কৃতিক আস্থা অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে এই রেশম উত্পাদনের মাধ্যমে জনগণের আয় অনেক বেড়েছে। তারা সুন্দর জীবন কাটাতে পারে। যা খুব তাত্পর্যপূর্ণ ব্যাপার।

 

 সম্প্রতি সিপিসি’র ঊনবিংশ কেন্দ্রীয় কমিটির ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে গভীরভাবে এত বছরে সিপিসি ও দেশের অর্জিত ঐতিহাসিক সাফল্য তুলে ধরা হয়। সিপিসির নেতৃত্বে, জনগণের জীবন থেকে দেশের চেহারা পর্যন্ত, আকাশপাতাল পরিবর্তন হয়েছে। এমন সুন্দর জীবনের প্রতি ‘লাইক’ দেয় চীনা জনগণ। ভবিষ্যতের জীবন নিশ্চয়ই আরও সুন্দর হবে।