নভেম্বর ১৪: প্রায় এক মাস আগে নবম বিশ্ব সাইনোলজি ফোরামে সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস টাডিক বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো একবিংশ শতকে যে সব চ্যালেঞ্জর সম্মুখীন হয়েছে, তাতে আধুনিকায়ন যে পশ্চিমায়নের সমার্থক নয়-তা প্রমাণিত হয়েছে। চীন আধুনিকায়নে নতুন উপাদান যোগ করেছে। আর তা বিশ্বকে একটি শিক্ষা প্রদান করেছে।
চীন অন্য কোনো দেশকে কখনোই তার উপনিবেশ বানায়নি। এবং কখনো আক্রমণ করেনি। চীনের আধুনিকায়ন কীভাবে সফল হয়েছে এবং তা বিশ্বকে কী প্রদান করেছে-তার ওপর সারা বিশ্বের নজর পড়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সিপিসির ঊনবিংশ কেন্দ্রীয় কমিটির ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের ইস্তাহারে বলা হয়, সিপিসির নেতৃত্বে চীনের জনগণ সাফল্যের সঙ্গে চীনের আধুনিকায়নের পদ্ধতি তৈরি করেছে, মানব সভ্যতার নতুন রূপ দিয়েছে, এবং উন্নয়নশীল দেশকে আধুনিকায়নের নতুন পথ প্রদান করেছে।
বৃটেনের বিখ্যাত পণ্ডিত মার্টিন জ্যাকুইস বলেন, ‘চীনের উত্থান’ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নয়নের নতুন পথ ও মেধা প্রদান করেছে। সিপিসির নেতৃত্বে চীনের জনগণ প্রায় একশ’ বছর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবশেষে এই পথ আবিষ্কার করেছে। তাতে চীনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি চীনের বাস্তবতার সাথে একেবারে সঙ্গতিপূর্ণ। এ পথের লক্ষ্য হচ্ছে দেশে জনগণের অভিন্ন উন্নয়নকে বাস্তবায়ন করা, মানুষ ও প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা। দেশের বাইরে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া, মানব জাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করা, বস্তুগত, রাজনৈতিক, আধ্যাত্নিক, সামাজিক ও বাস্তুসংস্থান-বিষয়ক সভ্যতার সমন্বিত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা।
গত একশ’ বছরে সিপিসির নেতৃত্বে চীনের জনগণ সাফল্যের সাথে আধুনিকায়নের এই পথ সৃষ্টি করেছেন। তার সবচেয়ে অমূল্য অভিজ্ঞতা হলো নিজের দেশের পরিস্থিতির সাথে উপযুক্ত উন্নয়নের পথ অনুসন্ধান করা, এবং জনগনকে কেন্দ্র করে নিজ পথে এগিয়ে চলা।
একশ’ বছরে সিপিসির নেতৃত্বে চীনা জনগণ আধুনিকায়নের যে পথ সৃষ্টি করেছে। তাতে চীন ও বিশ্বের পারস্পরিক কল্যাণ নিশ্চিত হয়েছে। আগামিতে সিপিসি সঠিক এই পথে এগিয়ে যাবে, তাতে চীনা জনগণ ও বিশ্ববাসীর আরো সুন্দর জীবন নিশ্চিত হবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)