হাবিবুর রহমান অভি:
বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় ৩জন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে নিউমোনিয়ায়। আর বছরে এই রোগে গড়ে মারা যায় দেশের ২৫ হাজারের মতো শিশু।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত শিশুদের বড় অংশ মারা যাচ্ছে বাড়িতে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, শিশুদের নিউমোনিয়া সংক্রমণ কেন ঘটছে, সেটির ৫০ শতাংশ কারণ এখনো অজানা। আর এ নিয়ে গবেষণাও কম হয়েছে বাংলাদেশে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু কমাতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা-ও পর্যাপ্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে নিউমোনিয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত দু’ ধরনের নিউমোনিয়া হতে পারে -- ভাইরাসঘটিত ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধে টিকাদান বিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিপথেরিয়া ও হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি এবং নিউমোকোক্কাল কনজুগেট টিকা দিয়ে শিশুর নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
তবে বেশকিছু ভাইরাল নিউমোনিয়া রয়েছে যার প্রতিরোধে এখনও কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। এমন অবস্থায় এসব শিশুদের আশেপাশে যারা আসেন তাদের কিছু নিয়ম মানা জরুরি। এজন্য বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। যেমন:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে তিনের নিচে নামিয়ে আনা।
অভি/রহমান