নভেম্বর ১১: এশিয়া হলো আমাদের প্রাকৃতিক বাজার, সেখানে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার রয়েছে। চিলির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিষয়ক উপমন্ত্রী রদ্রিগো ইয়ানেজ সম্প্রতি এ কথা বলেছেন। বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ অংশ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মহামারী ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ (বৃহস্পতিবার) এপেক শিল্প ও বাণিজ্য শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর ভাষণে বলেছেন, বিশ্বের অবস্থার যে-পরিবর্তনই ঘটুক না কেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনীতির দৃঢ়তা ও চালিকাশক্তির কমতি হবে না। চীন অঞ্চলটির উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
একদিকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মহামারীর ধাক্কা সামলে সবার আগে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সক্ষম হয়েছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র শীতল যুদ্ধ ও আধিপত্যবাদী মানসিকতা নিয়ে অঞ্চলটির নিরাপত্তা, স্থিতিশিলতা, উন্নয়ন ও সহযোগিতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে চলেছে।
চলতি বছর হলো চীনের এপেকে যোগদানের ৩০তম বার্ষিকী। উন্মুক্তকরণ হলো অঞ্চলটির লাইফলাইন এবং চীনা পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতা একটি রাজনৈতিক খেলা নয়, বরং উন্মুক্ত ও সহযোগিতার পারম্পরিক কল্যাণকর প্ল্যাটফর্ম। চীন বিভিন্ন বাস্তব ব্যবস্থা নিয়ে আঞ্চলিক অভিন্ন কল্যাণ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাবে। (ছাই/আলিম)