সাজিদ রাজু, নভম্বর ৪: পর্দা উঠলো চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদর্শনীর। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করেন। সারা বিশ্বের প্রায় দেড়শ’ দেশ ও অঞ্চলের ৩ হাজার প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এ প্রদর্শনীতে। ৯৭ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় চীনের এই প্রদর্শনী হতে পারে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্যও ক্রেতা সংযোগের বিশাল সুযোগ।
সাংহাই এর ন্যাশনাল এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে এখন সাজ সাজ রব। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সিঙ্গেল ব্লক এক্সিবিশন সেন্টারেই বসতে যাচ্ছে চতুর্থবারের মতো আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদর্শনী।
আয়োজকরা বলছেন, এবার নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনা সামাল দিতে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। যেসব দেশ ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি মেলায় অংশ নিতে পারছে না তাদের জন্য রাখা আছে অনলাইনে পণ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা। থাকছে বাণিজ্য বিষয়ক সেমিনার ও নানা সহায়ক কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন প্রতিষ্ঠান জানায়, এবার মোট ৫৮ টি দেশ ও ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা মেলায় সরাসরি অংশ নেবে। এর পাশাপাশি ১২৭ টি দেশ ও অঞ্চলের ৩ হাজার প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
চায়না আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদর্শনী ব্যুরোর উপ-পরিচালক সান ছেংহাই জানান, এবার মেলার পরিসর যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠান ও দেশের সংখ্যা।
“এবার সাড়ে ৩ লাখ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে এ প্রদর্শনী বসছে। আগের বছরগুলোর চেয়ে মেরার আয়োতন তাই অনেকটা বাড়ছে। আগের বার যে ৫০০ আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও নেতৃত্বস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই এবার থাকছে।“
মেলায় খাদ্য ও কৃষি পণ্য, অটোমোবাইল ও প্রযুক্তি পণ্য, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক পণ্য ও সেবাখাতের নানা পণ্যের পসরা নিয়ে বসবেন আন্তর্জাতিক রফতানিকারক ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। আয়োজকরা বলছেন, চীনের অভ্যন্তরীণ খাতের ক্রেতা ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিক্রতাদের এক মিলন মেলা হবে এ প্রদর্শনী। সাংহাই আন্তর্জাতিক আমদানি প্রদর্শনী চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।