চীনের একটি পরিবারের তিন শিক্ষাবিদ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন
2021-11-01 15:09:29

সুদূর মহাশূন্যে একটি ছোট গ্রহের নাম রাখা হয়েছে ‘লি সি কুয়াং গ্রহ’। আর লি সি কুয়াং চীনের বিজ্ঞানমহলের সেরা ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত। তিনি কেবল নিজেই বিজ্ঞান-গবেষণায় বিরাট অবদান রেখেছেন, তা নয়, তাঁর মেয়ে ও জামাইও চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির শিক্ষাবিদ। তাঁরা পদার্থবিদ্যা ও জীববিদ্যায় চমত্কার সাফল্য অর্জন করেছেন। আজকের আসরে আমরা জনাব লি সি কুয়াংয়ের পরিবারের তিন শিক্ষাবিদের গল্প আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

জনাব লি সি কুয়াং চীনের সুবিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ। চীনে ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণাকাজ ও আধুনিক ভূ-বিজ্ঞানের অন্যতম স্থপতি তিনি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের বিজ্ঞান উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রেখেছেন।

চীনের একটি পরিবারের তিন শিক্ষাবিদ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন_fororder_lsg1

১৮৮৯ সালের ২৬ অক্টোবর লি সি কুয়াং চীনের হুপেই প্রদেশের হুয়াংকাং শহরের চাংচিয়াওয়ান গ্রামের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি পিতার কাছ থেকে চীনা ভাষাসহ বিভিন্ন জ্ঞান শিখতে শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি পিতামাতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে উছাং শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হন। ১৯০৪ সালের মে মাসে সরকারি বৃত্তি নিয়ে তিনি জাপানে লেখাপড়ার সুযোগ পান এবং সেখানে চীন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুন ইয়াত সানের বক্তৃতা শুনে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক চীনের উন্নয়নকাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১৯০৭ সালে তিনি ওসাকার উচ্চ শিল্প কলেজের জাহাজ নির্মাণ যন্ত্রপাতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯১০ সালের জুলাই মাসে সেখান থেকে স্নাতক হন। ১৯১১ সালে হুপেই ফিরে এলে তাকে তত্কালীন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই বছরেই চীনের সিনহাই বিপ্লব ঘটে, ছিং রাজবংশের সামন্ত শাসনের অবসান ঘটে। তিনিও সরকারি কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দিয়ে ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যায়ের কয়লা খনন বিভাগে ভর্তি হন এবং পরে ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। ১৯১৯ সালে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯২০ সালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন জনাব ছাই ইউয়ান পেইয়ের আমন্ত্রণে তিনি চীনে ফিরে আসেন এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেন।

চীনের একটি পরিবারের তিন শিক্ষাবিদ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন_fororder_lsg

১৯২৮ সালের অগাস্ট মাসে তত্কালীন চীন সরকার উহান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় এবং জনাব লি সি কুয়াংকে উহান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা-কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তিনি কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের ভূতত্ত্ব বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রিটেনের লন্ডন, ক্যাম্ব্রিজ ও বার্মিংহামসহ ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের ভূতত্ত্ব বিষয়ে লেকচার দেন।

 

১৯৪৯ সালের শুরুতে নয়াচীন প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যায়। তখন চৌ এন লাই, যিনি পরে চীনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন, লি সি কুয়াংকে চীনে ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানান। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তখন ব্রিটেন থেকে চীনে ফিরে আসার জাহাজের টিকিট এক বছর আগে বুকিং দিতে হতো। তাই তিনি সময়মতো দেশে ফিরে আসতে পারেননি। এর সঙ্গে সঙ্গে কুওমিনতাং পার্টির ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতও লি’র চীনে ফিরে যাওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করেন। তখন লি ও তাঁর স্ত্রী গোপনে লন্ডন ত্যাগ করে ফ্রান্সে পৌঁছান এবং ফ্রান্স থেকে ইতালি গিয়ে অবশেষে হংকংয়ে যাওয়ার টিকিট পান। অনেক কষ্ট করে ১৯৫০ সালের ৬ মে তিনি বেইজিংয়ে পৌঁছান। পরে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির উপমহাপরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় চীনের তেল শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিজ্ঞানীদের গবেষণাকাজে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে, ব্যস্তবা জনাব লি সি কুয়াংকে তার শখ থেকে দূরে রাখতে পারেনি। ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাকালে তিনি ভায়োলিন বাজানো শেখেন। মাঝে মাঝে তিনি সংগীতের সুরও রচনা করতেন। ১৯২০ সালে তিনি চীনের বিপ্লব ও গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘কঠিন যাত্রা’ নামের সুর রচনা করেন এবং সেটি ছিল আধুনিক চীনে সর্বপ্রথম ভায়োলিনের সুর। ১৯২১ সালে তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করার সময় বেইজিংয়ের নারী নর্মোল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যু শু পিনের সাথে পরিচিত হন। তিনিও পিতার সাথে ব্রিটেনে পড়াশোনা করেছেন, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়  দক্ষ এবং চমত্কার পিয়ানো বাজাতে পারেন। কম সময়ের মধ্যে জনাব লি ও ম্যাডম স্যু প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করার পর তাঁদের মেয়ে লি লিনও জন্মগ্রহণ করে।

চীনের একটি পরিবারের তিন শিক্ষাবিদ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন_fororder_lsg2

লি লিন পিতামাতার প্রভাবে ছোটবেলা থেকে সংগীত ও বিদেশি ভাষা শিখতে শুরু করেছিলেন এবং বড় হওয়ার পর তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্বিবদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে যান। সেখানে তিনি পেশাগত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করেন। সেখানেই তার সঙ্গে চৌ ছেং লু’র পরিচয় হন। তিনি ক্লাসের সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে জীববিজ্ঞানের ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জনের জন্য ব্রিটেন গিয়েছিলেন। শিক্ষার্থী ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে দু’জনের পরিচয় হয় এবং অভিন্ন আদর্শ ও শখের কারণে দু’জন পরস্পরের প্রেমে পড়েন। ১৯৪৯ সালের অগাস্ট মাসে পিতা লি সি কুয়াংয়ের উপস্থিতে তাঁর মেয়ে ও জামাইয়ের বিবাহ অনুষ্ঠান বর্নমাউথ সৈকত এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

 

ম্যাডাম লি লিন বলেন, তাঁর পরিবারে তিনি ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান ও শিল্পকলাবান্ধব পরিবেশ পেয়েছেন। তাই ছোটবেলা থেকে তিনি পিয়ানো বাজানো শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে আকস্মিক ঘটনার কারণে তাঁর হাতের একটি আঙ্গুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই তার পক্ষে পেশাদার পিয়ানোবাদক হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি অবসর সময়ে পিয়ানো বাজাতে পছন্দ করেন। বাবার মুখ থেকে তিনি সবসময় হিমবাহ, জীবাশ্ম ও মাইক্রোস্কোপসহ বিভিন্ন অপরিচিত শব্দ শুনতেন। ব্রিটেনে লেকচারের সময় বাবা তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে বাবা-মায়ের প্রভাবে তিনিও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন এবং পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করেন। যদিও পদার্থবিদ্যা অতি কঠিন বিষয়, তবে পিতা লি সি কুয়াং সবসময় তাঁকে উত্সাহ দিতেন এবং গবেষণার কাজে সহায়তা করতেন। অবশেষে তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন এবং চীনে ফিরে আসার পর তিনি দেশের প্রথম ধাতব পদার্থের ক্ষুদ্র কাঠামো ও দক্ষতার গবেষকে পরিণত হন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় ম্যাডাম লি লিন ও তাঁর স্বামী চৌ ছেং লু পিতা লি সি কুয়াংয়ের মতোই নিবেদিতপ্রাণ। লি’র নীতি হচ্ছে: যখন যে পেশা বেছে নেব, তখন সে পেশার উন্নয়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো। তাঁর সংশ্লিষ্ট গবেষণা-কাজও দেশের স্বার্থে তিন বার পরিবর্তন করতে হয়েছে। তিনি পর্যায়ক্রমে লৌহ ও ইস্পাত, জ্বালানিসম্পদ, ও সুপার কন্ডাক্টিং উপাদান নিয়ে গবেষণা করেন।

পারমাণবিক চুল্লিতে যখন লি কাজ করতেন তখন তার মেয়ের বয়স মাত্র ৫ বছর। তাঁর কাজ প্রতিদিন পরমাণুচুল্লির সাথে জড়িত। তাই তিনি স্বামী ও মেয়ের সাথে টানা ১২ বছর ধরে দেখা করতে পারেননি। স্বামী চৌও স্ত্রীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় ব্যাপক সমর্থন দেন। তিনি পরিবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নয়াচীনের জীববিজ্ঞানগবেষণা কাজে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে তিনি কৃত্রিম সিন্থেটিক বোভাইন ইনসুলিনের গবেষণাকাজে বিরাট সাফল্য অর্জন করেন।

পরিবারের সবার মধ্যে সুসম্পর্ক সম্পর্কে ম্যাডাম লি বলেন, যদিও পরিবারের সদস্যরা গবেষণাকাজ অতি ব্যস্ত থাকতেন, তবে সময় পেলে সবাই একসাথে সুন্দর সময় কাটাতে ভুলতেন না। তাঁর মা অসুস্থ হলে পিতা নিজে তাকে বিভিন্ন ওষুধ ভাগ করে দিতেন এবং লি’র পেট ব্যথা হলে বাবাই তার যত্ন নিতেন।

নাতী চৌ চুং পিং বলেন, তার নানা কখনও রাগ করতেন না। বাবা ও মায়ের সাথে ঝগড়াও খুবই কমই হতো। যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান, কেবল চিঠির মাধ্যমে বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করতেন। চিঠি যাওয়া-আসা করতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় লাগতো। জীববিজ্ঞানসংশ্লিষ্ট সমস্যায় পড়লে পিতাকে প্রশ্ন করতেন তিনি। তখন অধ্যাপক চৌ ছেং লু বিস্তারিতভাবে জীববিজ্ঞানের ধারণা ও গবেষণার বিষয় বিশ্লেষণ করে প্রশ্নের উত্তর দিতেন। এ সম্পর্কে চৌ চুং পিং বলেন, তিনি নানার গবেষণাকাজের সঙ্গে পরিচিত। একজন ভূতত্ত্ববিদ হিসেবে তিনি নিজের অবদান রেখেছেন। নানা লি সি কুয়াং পরিবারের বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়েছেন, পরিবারের সবার মধ্যে সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাঁর প্রভাবে পরিবারের অন্য সদস্যরাও নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে দেশগঠনে ভূমিকা রেখেছেন।

 

২১ বছর বয়সে যুব শ্রমিক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন চাং ওয়েন লিয়াং

৩০ বছর বয়সের ফিটার কর্মী চাং ওয়েন লিয়াংয়ের কাজ প্রায় পারফেক্ট। তিনি কেবল টুল ফিটার ও সরঞ্জাম ফিটারের যোগ্যতাপত্র অর্জন করেননি, বরং অন্যান্য ৬টি প্রযুক্তি শিখেছেন। কারখানার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তিনি মনোযোগ দিয়ে হাতের কাজ করে থাকেন। কাজের শব্দ শুনে তাঁর মন শান্ত হয়ে যায়।

চীনের শেনইয়াং শহরের মিন্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন চাং। তিনি প্রধানত মুদ্রা সরঞ্জামের মেরামত ও পরীক্ষার কাজ করে থাকেন। চাংয়ের মূল কাজ মেশিনের ত্রুটি যতদূর সম্ভব কমিয়ে আনা।

ফিটারের কাজ কারখানার সবচেয়ে দক্ষ ও কঠিন কাজ হিসেবে স্বীকৃত। একটি চুলের ব্যাস সাধারণত ০.০৭ থেকে ০.০৮ মিলিমিটার। সাধারণ ফিটার কর্মীর কাজের নির্ভুলতা ০.০১ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে চাংয়ের কাজের নির্ভুলতা মাত্র ০.০০২ মিলিমিটার। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, যখন হাত দিয়ে ফাইল ধরেন, তখন তার হাত অনেক নমনীয় থাকে। নিজের কর্মজীবন সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ১৭ বছর বয়সে শেনইয়াং কারিগরি কলেজে ভর্তি হন তিনি। তখন থেকে ফিটারের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে শুরু করেন। চাংয়ের শিক্ষক ছু লি বলেন, ফিটারের কাজে ভালো করতে হলে কাজের প্রতি ভালোবাসা চাই। শ্রেণিকক্ষে সবকিছু শেখানো যায় না। দীর্ঘকাল ধরে চর্চার মাধ্যমেই কেবল এ কাজে নির্ভুলতা অর্জন করা যায়।

চীনের একটি পরিবারের তিন শিক্ষাবিদ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখেন_fororder_zwl1

কঠিন চর্চা করেন চাং। শুরুর দিকে হাতের আঙ্গুল ও তালুতে ফোসকা পড়ে যায়। পরে হাতের বিভিন্ন স্থান শক্ত হয়ে যায়।  কঠিন চর্চার কারণে ক্লাসের ৯০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর মাত্র ২-৩ জন টিকে যায়। এমন কঠিন কাজের জন্য ১৮ বছর বয়সের মধ্যে তিনি কটিদেশীয় ডিস্ক হার্নিয়েশনে আক্রান্ত হন এবং ডাক্তার তাকে বলেন যে, আর কষ্ট করে ভারি কাজ করলে চলবে না। তবে এতো কষ্ট ও পরিশ্রম করে ফিটারের দক্ষতা অর্জন করে তা ছেড়ে দিতেও মন সায় দেয় না। তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েই চর্চা করতে থাকেন।

২০১১ সালে ২১ বছর বয়সে চাং ওয়েন লিয়াং চীনের যুবক কারিগরি দক্ষতার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন এবং অবশেষে শেনইয়াং মিন্ট কোম্পানিতে যোগ দেন। তাঁর প্রচেষ্টায় কারখানার ত্রুটি নির্ভুলতার মানদন্ড দিন দিন উন্নত হয়। বিভিন্ন সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশের আয়ুও অনেকে বেড়ে যায়। ফলে উত্পাদনখরচও কমে যায়।

ফিটার কর্মীরা অনেক ব্যস্ত থাকেন। ইউনিফর্ম পরে চাং আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন যুগে চীনা কর্মীদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেন। নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আরও বেশি মেধাবী যুবক কারখানায় তাদের অবদান রাখবে বলে আশা করি।’

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান।(সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)