শান্তা মারিয়া: উটের খামার করে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন সত্যি করেছেন চীনের সিনচিয়াং এর এক কৃষক দম্পতি। পরিবারের প্রয়োজন মেটানো থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, সব আসে এই খামার থেকে। তাই প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় নিজেদের খামারকেও উন্নত করতে ভোলেননি প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই কাজাখ মুসলিম খামারি।
মরুভূমির বুকে উটের পাল। উটগুলো মাঝে মাঝে দুষ্টুমিও করে। তখন স্নেহের সঙ্গে শাসন করতে হয় এদের। ঠিক যেন মানবশিশু। এভাবেই উটদের পালন করেন আইডেন এরজান।
চীনের সিনচিয়াংয়ে উটপালন খুবই জনপ্রিয় পেশা। এই যেমন চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের ফুহাই জেলা। এখানেই বসবাস কাজাখ জাতিগোষ্ঠির নারী এরজান ও তার স্বামী আমান মুহামেত। সংসার চালাতে উট পালন করেন তারা। এরজান বলছেন, বিয়ের আগে কখনো ঘোড়ায় চড়া বা মোটরবাইক চালাতে না জানলেও এখন সবই পারেন।
“বিয়ের পর এখানে এসে প্রথম উট দেখি। মোটর বাইক চালানো আর উটের দুধ দোয়ানো শিখি”
২০০৫ সালে বিয়ে হয় এরজান ও আমানের। শুরুতে মাত্র দুটি উট থাকলেও এখন এ সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এরজান জানান, তিনি উটগুলোকে দেখাশোনা করেন নিজের সন্তানের মতো। আর ওরাও তাকে মনে করে মায়ের মতো।
“উটগুলো জানে কে ওদের খাবার দেয়। এটির জন্ম এপ্রিলে। ও বেশ ভালো। যেগুলো দুষ্টু তাদের এমন শিক্ষা দেব।“
প্রযুক্তি বিকাশের ছোঁয়া লেগেছে তাদের খামারেও। তাই উন্নতিও হয়েছে ধাপে ধাপে। তিনি জানান, এখন উটের দুধ দোয়ানো হয় মেশিনে।