ছবি: অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম
এক.
বাংলার মাঠ-ঘাট, জল-হাওয়া; আমাদের দেশটা- জীবনানন্দের মতো এমন সুন্দর করে আর কোনো সাহিত্যিক তুলে আনতে পারেননি। আমার কেন যেন মনে হয় পারবেও না। শব্দের-ধ্বনির নিপূণ কারুকার্য; উপমা-উৎপ্রেক্ষার ব্যবহারে এমন নিবিড়ভাবে বাংলাদেশকে কবিতায় প্রকাশ করেছেন জীবনানন্দ!
দুই.
আব্দুল মান্নান সৈয়দের জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা পড়ে আমি অভিভূত হয়েছিলাম। জীবনানন্দ আমাকে পেয়ে বসে! প্রথম তার কবিতা অনুবাদ শুরু করি। জীবনান্দকে নিয়ে এখনো অনেক কাজ বাঁকি আছে। তার অনেক কবিতা ও অন্য রচনা অনুবাদের সুযোগ আছে। এখন রবীন্দ্রনাথ আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করছি। আগামী বছর থেকে আবার জীবনানন্দে ফিরে আসবো।
তিন.
জীবনানন্দ যে মাপের কবি, সে হিসেবে কিন্তু খুব বেশি বিদেশি পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়নি তাকে। আন্তর্জাতিক পাঠক পাওয়া গেলেও তা খুবই সীমিত। আমরা তো মনে হয় না পৃথিবীর কবিরাও তাকে খুব একটা পেয়েছেন। তার অনেক রচনা এখনো আমাদেরই জানা-বোঝার বাকি- বিদেশিদের কথা আর কি বলবো। তাকে জানতে আরও সময় লাগবে- রাতারাতি হবে না।
চার.
আমাদের ছোট দেশ। সাহিত্যের দিক থেকে বলতে গেলে নেই বিশ্বের মানচিত্রে। আমাদের সাহিত্যকে বিশ্বপরিমণ্ডলে নিতে হলে ডুয়েল পাবলিশিং স্কিম করতে হবে। একমাত্র ওপায় আমি দেখি যে, বড় ইন্টান্যাশনাল পাবলিশারদের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট সই করতে হবে। তাদেরকে নিয়ে আসতে হবে- ডুয়েল পাবলিশিং ও ডুয়েল ল্যাঙ্গুয়েজে। এতটা নিঃস্বার্থভাবে কাজটা কে করবেন জানি না- কিন্তু এ কাজটা করা দরকার।
কবি জীবনানন্দ দাশের প্রয়াণ বার্ষিকীতে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এভাবে কবিকে স্মরণ করলেন এবং জীবনানন্দসহ বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বপরিমণ্ডলে নিয়ে যেতে নিজের ভাবনার কথা জানালেন শিক্ষাবিদ, লেখক ও অনুবাদক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। শুনিয়েছেন তার ইংরেজি অনুবাদে জীবনানন্দের কবিতা। সঙ্গে থাকছে বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর আবৃত্তি।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।
আবৃত্তি: রবিশঙ্কর মৈত্রী
অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া