দেহঘড়ি পর্ব-৪০
2021-10-22 20:20:36

‘দেহঘড়ি’র এবারের পর্বটি সাজানো হয়েছে কিডনি রোগের নানা দিক নিয়ে; আপনার ডাক্তার অংশে থাকছে একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার, থাকছে কিডনি সম্পর্কিত ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ভুলের ভূবনে বাস এবং কিডনি রোগীদের খাদ্য সম্পর্কিত পরামর্শ কী খাবো, কী খাবো না। পাশাপাশি নিয়মিত আয়োজন হিসাবে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের প্রতিবেদনহেলথ বুলেটিন

 

## প্রতিবেদন

ডেল্টাসহ করোনার ১১ ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর বঙ্গভ্যাক্স

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng

ডেল্টাসহ করোনাভাইরাসের ১১টি ধরন মোকাবিলা করতে সক্ষম বাংলাদেশে তৈরি ‘বঙ্গভ্যাক্স’টিকা। এমনটাই দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানিয়েছেন, “এ টিকা বানরের উপর বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করা হয়েছে। বানরের শরীরে কার্যকর এন্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় এটা মানবদেহেও সমান কার্যকর হবে। কারণ বানর আর মানুষের মধ্যে জীনগত মিল অনেক।”

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng1

 

ড. মহিউদ্দিন বলেন, ডেল্টাসহ এখন পর্যন্ত বিশ্বে সক্রিয় করোনাভাইরাসের১১টি ধরনের সিকোয়েন্স পর্যবেক্ষণ করে টিকার সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি ধরনের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর।

তিনি বলেন, বঙ্গভ্যাক্স টিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ মাস এবং -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, “গেল ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর শুরু হওয়া এ পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হলে অক্টোবরের শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও একইভাবে কাজ করবে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সরকারের অনুমোদন পেলে শিগগিরই বাজারে আসবে এই টিকা।”

গ্লোব বায়োটেকের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রচলিত বেশিরভাগ টিকা ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে বঙ্গভ্যাক্সনতুন মাত্রা যোগ করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেক-আবিষ্কৃত বঙ্গভ্যাক্স টিকাকে কোভিড-১৯ টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। - অভি/রহমান

 

##হেল্‌থ বুলেটিন

টিকা পেতে নিবন্ধন সাড়ে ৫ কোটি

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng2

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং উভয় ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৯৪ লাখ টিকা মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, টিকা নিতে দেশে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৫ কোটি ৪০ লাখ ২৮ হাজার এবং পাসপোর্টের মাধ্যমে ৭ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেন।

দুই মাসের মধ্যে প্রথম স্থানীয়ভাবে সংক্রামিত করোনা রোগী পাওয়া গেল বেইজিংয়ে

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে শূন্য সংক্রমণের পর এই প্রথম চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে স্থানীয়ভাবে সংক্রামিত করোনাভাইরাসের রোগী সনাক্ত হয়েছে। রাজধানীর ফেংতাই জেলায় মঙ্গলবার সকালে চিহ্নিত হন ওই রোগী।

ফেংতাই জেলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাংসু প্রদেশের তুনহুয়াং থেকে সম্প্রতি ট্রেনে করে বেইজিংয়ে আসা নিংসিয়া হুই স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের একজন রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন বেইজিংয়ের ওই ব্যক্তি।

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৯ লাখ ছাড়িয়েছে

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng3

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত বুধবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ কোটি ২৪ লাখে। এই মরণঘাতি ভাইরাস থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২১ কোটি ৯৭ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য মতে, সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় এক, দুই ও তিন নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল। এই তালিকায় বর্তমানে ২৯ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। - তানজিদ/রহমান

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng4

দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি কিডনি রোগ নিয়ে। কিডনি মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর অন্যতম। তবে এ অঙ্গের রোগের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবছর। আর মৃত্যুর এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে প্রতিদিন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ২০২০ সালে দেশে মারা যায় ২৮ হাজার ১৭ জন, যেখানে আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬২২। অর্থাৎ ২০১৯ সালে এ রোগে যত মানুষ মারা যায়, তার প্রায় তিনগুণ মারা যায় ২০২০ সালে। কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার শেখ মইনুল খোকন। তিনি কাজ করছেন ঢাকায় অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশনে

## ভুলের ভুবনে বাস

পরিশ্রমী তবে উপেক্ষিত অঙ্গ কিডনি

কিডনি এমন একটি অঙ্গ যেটি সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে; শরীরে জমা দুষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং শরীরের তরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এটি সবচেয়ে উপেক্ষিত একটি অঙ্গ। বেশিরভাগ মানুষ জানে না কিডনির গুরুত্ব কী, এটি কী কাজ করে কিংবা এর ঝুঁকি কী। এমনকি অনেকে এটাও জানে না যে, কিডনির অবস্থান শরীরের পিছনে কোমরের কাছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির ব্যাপারে অজ্ঞতার পাশাশাপশি রয়েছে নানা ভুল ধারণা। আসুন জেনে নিই কিডনি সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা সম্পর্কে:

পিঠের নিম্নাঞ্চলে ব্যাথা মানেই কি কিডনি রোগ?

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng5

 

কিডনিতে সংক্রমণ বা ব্লকেজ থাকলে পিঠের নিম্নাঞ্চলে অর্থাৎ কোমরের একটু উপরে ব্যথা হতে পারে। তবে এখানে ব্যাথা মানেই কিডনির সমস্যা না। কোমরের উপরে ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ পেশী বা মেরুদণ্ডের রোগ। কিডনিতে কেবল তখনই ব্যথা অনুভব হয় যখন কিডনির আচ্ছাদন বা ক্যাপসুল প্রসারিত হয়। এর অর্থ হলো কিডনি ফুলে যাওয়া বা প্রস্রাবের প্রবাহে ব্লকেজ সৃষ্টি হওয়া, যেটা কিডনি পাথরের কারণে হতে পারে।

প্রস্রাবে কোনও সমস্যা নেই মানে কি কিডনি সুস্থ?

অনেকে মনে করেন, যতক্ষণ প্রস্রাবে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না, ততক্ষণ কিডনি ভালো আছে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। নিয়মিত ডায়ালাইসিসে করাতে হচ্ছে, এমন রোগীরও প্রস্রাবে অসুবিধা নাও হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি প্রস্রাব তৈরি করতে থাকবে, এমনকি যদি সেটি রক্তকে সঠিকভাবে পরিষ্কার নাও করতে পারে। কিডনি রোগ সম্পূর্ণ উপসর্গ ছাড়াই হতে পারে। আপনার কিডনি রোগ আছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারে কেবলমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ অনুযায়ী করা রক্ত ও প্রস্রাবের পরীক্ষা।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে রক্তচাপ বাড়া কি স্বাভাবিক?

যদিও এটা সত্য যে বয়সের সাথে সাথে রক্তচাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়, তবে অনেকের বেশি বয়সেও রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। যে কোনও বয়সে স্বাভাবিক রক্তচাপ এখনও ১২০/৮০ এবং যদি আপনার রক্তচাপ এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ। গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসায় খুব বয়স্ক উচ্চ-রক্তচাপ রোগীরাও উপকার পান। উচ্চ রক্তচাপ পূর্ণ বয়স্কদের কিডনি রোগের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ এবং প্রবীণদের কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় কারণ।

চিকিৎসায় রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে রক্তচাপের ওষুধ ছাড়া যায়?

কিডনি রোগে আক্রান্তদের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখা প্রয়োজন। এসিই-ইনহিবিটর ও এআরবি’র মতো নির্দিষ্ট রক্তচাপ এজেন্ট ব্যবহার কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পাশাপাশি এই এজেন্টগুলো কিডনিকে রক্ষা করে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ ওষুধ নেওয়া উচিত। -রহমান

 

##কী খাবো, কী খাবো না

খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন কিডনি রোগ হলে

কিডনি রোগে যারা ভুগছেন, অধিক জটিলতা এড়াতে তাদের জন্য খাদ্য নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিডনি রোগ এমন এক সমস্যা, যার সাথে সম্পর্ক রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্রোটিনিউরিয়া, রক্তের ইউরিক এসিড ও ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পাওয়াসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার। তাই কিডনি রোগীর খাদ্যতালিকা প্রস্তুতের সময় অবশ্যই অন্যান্য শারীরিক সমস্যাগুলোকে আমলে রাখতে হবে।

সাইট্রাস ও পটাশিয়ামযুক্ত ফল: সাইট্রাসযুক্ত টক ফল যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি, আম ও আংগুর এবং উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত ফল যেমন কলা, শুকনা ফল ও টমেটো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে বা খুব কম পরিমাণে খেতে হবে। তাছাড়া আনারস, আপেল, বেদানা, নাশপাতি, পেয়ারা, কাঠাল, বরই ইত্যাদি পরিমিত পরিমাণ খাওয়া যাবে।

সবজি ও শিম:

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng6

থেকে বাদ দিতে হবে বা খুব পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে। মাটির নিচের সবজি বিশেষ করে গোল আলু, মিষ্টি আলু, কচু ইত্যাদি খাওয়া ত্যাগ করতে হবে। তাছাড়াও পিউরিনসমৃদ্ধ বিভিন্ন ডাল এবং বীচি জাতীয় সবজি যেম শিম, বরবটি, ইত্যাদি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তবে মাটির নিচের সবজি গাজর, মূলা, পেঁয়াজ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাউ, ঢেড়শ, ঝিংগা, চিচিংগা, উচ্ছে, মটরশুঁটি, কাকরোল, ফুলকপি, ব্রকলি ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে।

দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার: দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কারণ অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের ফলে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়।

দেহঘড়ি পর্ব-৪০_fororder_sheng7

প্রোটিন:

রোগীর বয়স, ওজন, উচ্চতা, পরিশ্রমের প্রকার ও রোগের ধাপের ভিত্তিতে পুষ্টিবিদ-নির্ধারিত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন বরাদ্দ খাওয়া যায়। এক্ষেত্রে গরু ও খাসী মাংস যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। মাছ, মুরগী, কবুতর, ডিম, পনির ইত্যাদি গ্রহণের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা মেটানো যায়।

শর্করা: ডায়াবেটিস না থাকলে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবারে কোনও বিধি-নিষেধ নেই। তবে যতটা সম্ভব কঠিন শর্করা গ্রহণ করা উচিৎ। গমের আটার রুটি, ওটস, মিক্সড গ্রেইন, সাগু ইত্যাদি খাওয়া যাবে চাহিদা মতো।

পানি: কিডনি রোগে যেহেতু কিডনির ফিলট্রেশন ক্ষমতা কমে যায়, তাই পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক পরিমাণ অর্থাৎ প্রতি কেজি শারীরিক ওজনের জন্য ০.০৩ লিটার পানি গ্রহন করা যাবে। রোগের তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম ধাপে গ্লামেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট বিবেচনায় নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খেতে হবে।

জাঙ্ক ফুড: সব ধরনের প্যাকেটজাত খাবার, কোমল পানীয়, ডাবের পানি, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার ও রিফাইন্ড চিনি পরিহার করতে হবে। এছাড়াও ধুমপান বা অন্যান্য নেশা জাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। - রহমান

 

  • দেহঘড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট CRI Banglaর মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।

 

অনুষ্ঠানটি অডিও সম্পাদনা করেছেন হাবিবুর রহমান অভি

সঞ্চালনায় শিহাবুর রহমান