উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী আসছে! বাংলাদেশি বন্ধুদের আগ্রহের বিষয় ভিডিওতে আছে!
2021-10-21 15:29:01

উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী আসছে! বাংলাদেশি বন্ধুদের আগ্রহের বিষয় ভিডিওতে আছে!_fororder_318

২২তম উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চীনের উহান আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১বার আয়োজিত হলো, যা চীনের মধ্যাঞ্চলের অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নের  প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন। এবারের প্রদর্শনীর আয়তন ১ লাখ ২০হাজার বর্গমিটার, যা অব্যাহত চীনের মধ্যাঞ্চলের বৃহত্তম অটোমোবাইল প্রদর্শনী।

 

চীন ও বাংলাদেশের অটোমোবাইল শিল্পের সহযোগিতার ভিত্তি ও বর্তমান অবস্থা:

১৯৭৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক একটি সুস্থ ও মসৃণ উন্নয়ন বজায় রেখেছে এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র ক্রমেই প্রসারিত হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে, বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা ১৯ কোটি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, অটোমোবাইল, বাইসাইকেল ইত্যাদির শক্তিশালী সম্ভাবনাময় বাজার তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অনেক মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং বাংলাদেশে মধ্যবিত্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। দেশের রাস্তার অবস্থাও উন্নত হচ্ছে। এই বিষয়গুলি বাংলাদেশে পরিবহনের চাহিদা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

 

চীনের ছাংআন অটোমোবাইল গ্রুপ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশে উত্পাদন ঘাঁটি স্থাপন করেছে। ২০০৮ সালের ১৪ জুন, চীনের আনহুই চিয়াংহুয়াই অটোমোবাইল গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড এবং বাংলাদেশের ENERGYPAC POWER GENERATION LTD. একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। চীনের সুপরিচিত পুরাতন ব্র্যান্ডের যাত্রীবাহী গাড়ি এবং অটোমোবাইল নির্মাতারাও বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করে।

 

বৈদ্যুতিক সাইকেল এবং বৈদ্যুতিক ট্রাইসাইকেলগুলির জনপ্রিয়তার সাথে সাথে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের গাড়ির ব্যাটারির বাজার ৮০ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছাবে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ বৈদ্যুতিক সাইকেল এবং ট্রাইসাইকেল ব্যাটারি চীনে উত্পাদিত হয়। এর বাজার সম্ভাবনাও অনেক বিশাল।

 

উহান অটোমোবাইল শিল্পের সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন যে, আগামী দুই বছরের অটোমোবাইল বাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে, বিশেষ করে নতুন এনার্জি এবং হাই-এন্ড গাড়ি শিল্প আরো দ্রুত উন্নত হবে। বর্তমানে স্বয়ংক্রিয়, নতুন শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছে অটোমোবাইল শিল্প। চীনের নতুন শক্তির অটোমোবাইল শিল্পের চমত্কার ব্র্যান্ড আছে, যা বাজারে খুব জনপ্রিয়। এবার উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনীতে নতুন শক্তি এবং বুদ্ধিমান নেটওয়ার্কযুক্ত যানবাহন নতুন পণ্য প্রদর্শনী এলাকা নতুন গাড়ি মডেলগুলি প্রদর্শন করবে।
 

বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলিকে সংযুক্ত করে রাস্তা নির্মাণ করছে এবং ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ভাল পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন এনার্জি ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার বাজারেও জনপ্রিয় হবে। বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় এবং অনেক সহায়তা ও ব্যবস্থা প্রদান করে, যা চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানিকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য উত্সাহিত করে।

 

তা ছাড়া, বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশের সঙ্গে অনেক বছর ধরে বাণিজ্য করছে, অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যা চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের পণ্যগুলি বিশ্ববাজারে প্রবেশে সহায়তা করবে।

 

উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী চীনের মধ্যাঞ্চলের বৃহত্তম অটো শিল্প একত্রীকরণ প্ল্যাটফর্ম। চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অটোমোবাইল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বলেন যে, চীনা ব্র্যান্ডের গাড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবদান রাখতে পারবে। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে, চীনের অটোমোবাইল কমিটির পরিসংখ্যান অনুসারে, চীনের অটোমোবাইল রপ্তানি মোট সংখ্যা ১.১৮ মিলিয়ন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী ২০ বছরেরও বেশি সময় উন্নয়নের পর উহানের অন্যতম বৃহত্তম ভোক্তা প্রদর্শনী হয়ে উঠেছে। এর স্কেল ও প্রভাব আরও বেড়েছে এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি উন্নয়নে সহায়তা করেছে। উহান আন্তর্জাতিক অটোমোবাইল প্রদর্শনী চীনা অটো কোম্পানি এবং বাংলাদেশের গাড়ি শিল্পের জন্য একটি চমত্কার সুযোগ।

 

জিনিয়া/তৌহিদ