চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনা অর্থনীতিতে সামষ্টিক পুনরুদ্ধারের ধারা বজায় রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকশেষে চীনের জিডিপি দাঁড়ায় ৮২.৩১৩১ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি। তিন প্রান্তিকে চীনের পণ্যের আমদানি-রফতানি বেড়েছে ২২.৭ শতাংশ এবং বাণিজ্য-কাঠামোর উন্নতিও বজায় থেকেছে। তা ছাড়া, উক্ত সময়কালে সারা দেশে শহর ও জেলায় ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনা অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়েছে।
গ্লোবালাইজেশন থিংক ট্যাঙ্ক (সিসিজি)-র একজন সিনিয়র গবেষক অর্থনীতিবিদ সু হুং ছাই চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ হয়েছে। এর মানে, গোটা বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে আশা করা যায়।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পরিমাণ বছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। কারণ, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে পুনরায় কোভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতিও এসময় কমে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দামও বেড়েছে। চীনা রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য-কার্যলয়ের মুখপাত্র ও জাতীয় অর্থনীতি বহুমূখী পরিসংখ্যান বিভাগের পরিচালক ফু লিং হুই সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন।
মুখপাত্র বলেন, বর্তমান জটিল অবস্থায় চীনের বিভিন্ন বিভাগ কার্যকরভাবে সামষ্টিক ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে দেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে এবং জনগণের জীবনমানও ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, চীনের অর্থনীতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। পরবর্তী ধাপেও চীন সম্পূর্ণ, সঠিক ও সার্বিক উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করে যাবে।
চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেটা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সু সিয়ান ছুন।
সম্প্রতি তিনি রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য-কার্যালয়ের এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, জাতীয় অর্থনীতি যুক্তিসঙ্গত পরিসরের মধ্যেই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯.৮ শতাংশ, যা খুবই ইতিবাচক।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে, নতুন নতুন ব্যবসায়িক মডেল দেখা যাচ্ছে। ইন্টারনেটে লাইভ স্ট্রিমিং ও ইন্টারনেট প্লাটফর্মের ব্যবহার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
রুবি/এনাম