অক্টোবর ১৮: চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে চীনের ডিজিপি ৮২ ট্রিলিয়ন ৩১০ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি। খুচরা বিক্রয়, শিল্পের উত্পাদন, স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং বাসিন্দাদের গড় আয়ের পরিমাণের দিক দিয়ে, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতিতে সামষ্টিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এতে প্রতিফলিত হচ্ছে যে, চীনা অর্থনীতি বহু ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম। চীন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষস্থানেই রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সমাজ সাধারণভাবে মনে করে, চীনের বার্ষিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষমতা রয়েছে। ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এক সম্পাদকীয়তে বলেছে, অর্থনীতিবিদরা চীনা অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী।
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে চীনের শহরাঞ্চলে মোট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১ কোটি সাড়ে ৪ লাখ, যা বছরের মোট লক্ষ্যের ৯৫ শতাংশ। পাশাপাশি, নাগরিকদের আয়ের বৃদ্ধির হার অর্থনীতি বৃদ্ধির হারের সমান। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে নাগরিকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৭ শতাংশ।
এ ছাড়াও, বৈদেশিক বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নয় মাসে চীনের আমদানি ও রফতানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২.৭ শতাংশ বেশি ছিল। পণ্য ও পরিসেবা রফতানি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ১৯.৫ শতাংশ।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃতত্তম অর্থনৈতিক সত্তা হিসেবে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার বিশ্বের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন হলো বিশ্বের সরবরাহ চেইন ও শিল্প চেইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নের সুফল শেয়ার করে যাবে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)