অক্টোবর ১৫: সম্প্রতি আয়োজিত এক সভায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, একটি দেশে গণতন্ত্র রয়েছে কিনা- তা জানার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে সেদেশে সত্যিকারার্থে জনগণের নেতৃত্ব রয়েছে কিনা- তা জানা। বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষমতাসীন দল হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) জনগণকে দেশের নেতৃত্বে আসীন করাকে তার গুরুত্বপূর্ণ মিশন হিসেবে নির্ধারণ করেছে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর গণকংগ্রেস ব্যবস্থা এবং বহু দলীয় সহযোগীতা ও রাজনৈতিক পরামর্শ ব্যবস্থাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসবের মাধ্যমে “দেশের জনগণকে সর্বময় ক্ষমতার মালিক’ বানানো হয়েছে। সিপিসির অষ্টাদশ জাতীয় গণকংগ্রেসের পর চীনের ক্ষমতাসীন দল ‘পূর্ণাঙ্গ জনগণতন্ত্রে’র গুরুত্বপূর্ন ধারণা উত্থাপন করেছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়।
চীনের এই ধারণার সফলতা থেকে বিশ্ববাসী জানতে পারে একটি দেশে গণতন্ত্র রয়েছে কিনা? আর কোনো দেশ গণতান্ত্রিক কিনা? তা কেবল সেদেশের জনগণেরই বলা উচিত। বাইরের কতিপয় ব্যক্তির ভিত্তিহীন বক্তব্যে সেদেশের আসল অবস্থা ফুটে ওঠে না। একটি দেশে গণতন্ত্র রয়েছে কিনা? তা আন্তর্জাতিক সমাজের একযোগে বিচার করা উচিত।
মিশরের একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, চীনের অর্জিত বিপুল উন্নয়নের সুফল ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে, চীনের ‘পূর্ণাঙ্গ জনগণতন্ত্র’ যুক্তিসঙ্গত ও কার্যকর। তা সেদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের সৃজনশীলতাকে ত্বরানিত করছে।
চীনের ‘পূর্ণাঙ্গ জনগণতন্ত্রে’র সফলতা থেকে বিশ্ববাসী আরো লক্ষ্য করেছে, গণতন্ত্র বাস্ববায়নের পথ অনেক। তা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে করা যায়, এমন নয়। অনেক বছর ধরে পশ্চিমা দেশগুলো অন্য দেশের ওপর অগণতান্ত্রিক ও কর্তৃত্ববাদের তকমা লাগিয়ে আসছে। তবে পশ্চিমা প্রশাসনে ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তাদের গনতন্ত্রের ব্যর্থতা প্রমাণ করছে। নিজ দেশের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নিজ দেশের জন্য উপযোগী গণতন্ত্র উন্নয়নের পথ বাছাই করার অধিকার রয়েছে সব দেশের।
বাস্তবতা প্রমাণ করে, চীনা বৈশিষ্ট্যের সমাজতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পথ সুষ্ঠুভাবে কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে চীন এ পথে অবিচল থাকবে। ‘পূর্ণাঙ্গ জনগণতন্ত্রে’র উন্নয়ন করবে এবং মানবজাতির রাজনৈতিক সভ্যতার অগ্রগতির জন্য আরো বেশি অবদান রাখবে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)