অক্টোবর ১৪: আগামী ১৫ অক্টোবর চীনের ১৩০তম আমদানি-রফতানি মেলা তথা কুয়াংচৌ মেলা প্রথমবারের মতো অনলাইন ও অফলাইন—এই দুই পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি কুয়াংচৌতে বিদেশি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৩০তম কুয়াংচৌ মেলা আগামী ১৫ অক্টোবর শুরু হবে। এবারের মেলায় ২৫ হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি পণ্য সরবরাহকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে এবারের আয়োজন কুয়াংচৌ মেলার জন্য এক বিশাল ব্যাপার। এই নতুন রূপে পরবর্তী কুয়াংচৌ মেলাগুলোও আয়োজন করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় নতুন পরিবর্তন আসবে।
এবারের মেলায় ৪০টি দেশ ও অঞ্চলে ৫২টি ‘ক্লাউড সুপারিশ’ তত্পরতা আয়োজন করা হবে। এতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের প্রচার হবে, আন্তর্জাতিক বিখ্যাত ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের পারস্পরিক যোগাযোগ হবে, বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও দেশি ব্যবসায়ী-ক্রেতারা অফলাইনে মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
১৯৫৭ সালের ২৫ এপ্রিল চীনের আমদানি-রফতানি মেলা প্রথম আয়োজিত হয়। এর পর থেকে প্রতিবছরের বসন্তকাল ও শরত্কালে চীনের কুয়াংচৌতে এ মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কুয়াংতুং প্রাদেশিক সরকারের যৌথ উদ্যোগে এবং চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যকেন্দ্রের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। এই মেলাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘চীনের প্রথম স্টোর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন কেউ কেউ।
এবারের কুয়াংচৌ মেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য কুয়াংচৌ স্থানীয় সরকার বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এই মেলায় শীর্ষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। মেলার সময় প্রচুর প্রদর্শক ও ব্যবসায়ী ট্রেনে ভ্রমণ করবেন। তাই, কুয়াংচৌ মেট্রো স্টেশনে মহামারী প্রতিরোধ ও পরিদর্শন কার্যক্রম আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সবার গায়ের তাপমাত্রা মাপা হবে, সবাইকে সবুজ কোড দেখিয়ে ভ্রমণ করতে হবে, এবং সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
কুয়াংচৌ মেট্রো মেলা উপলক্ষ্যে নিজের পরিবহন-ক্ষমতা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি, মেট্রো দেবে বিভিন্ন পরিষেবা:
এক. ‘পাজহো’ ও ‘সিনকাং’ ইস্ট স্টেশনে ‘মেট্রো লাইট লাইফ সার্ভিস এরিয়া’ তৈরি করা হবে। সেখানে পাওয়া যাবে সাবওয়ে ও মেলার প্রদর্শনী হলের নির্দেশিকা, মহামারী প্রতিরোধের সামগ্রী, সেলাই কিট, সুবিধাজনক ছাতা, ডিসপোজেবল রেইনকোট, মানচিত্র এবং অন্যান্য সুবিধাজনক উপকরণ।
দুই. যাত্রীদের সুবিধাজনক পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কর্মীদল থাকবে।
তিন. ৯ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে থাকবে। তারা ইংরেজি, জাপানি ও কোরিয়ান ভাষায় অতিথিদের পরামর্শসেবা দেবে।
চার. ‘পাজহো’ ও ‘সিনকাং’ ইস্ট স্টেশনের যাত্রীসেবার মান উন্নত করা হবে। একইভাবে, পাঝাউ স্টেশনে একটি বুদ্ধিমান গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্র যুক্ত করা হবে। (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)