অক্টোবর ৯: স্পিড স্কেটিং চায়না ওপেন প্রতিযোগিতা গতকাল (শুক্রবার) বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে। এটি আসন্ন বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের প্রথম আন্তর্জাতিক পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতা। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ১৫০ জন ক্রীড়াবিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। আগামী বছর যথাসময়ে, নিরাপদে ও সুষ্ঠুভাবে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য এই প্রতিযোগিতা অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো।
পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতার প্রথম ইভেন্ট হলো নারীদের ৩ হাজার মিটার স্পিড স্কেটিং। এবারের পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতায়ও শীতকালীন অলিম্পিক গেমস ও শীতকালীন প্রতিবন্ধী অলিম্পিক গেমসের মানদন্ড অনুযায়ী সার্বিকভাবে মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজের পরীক্ষা হবে এই প্রতিযোগিতায়।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে জাতীয় স্পিড স্কেটিং ওভালসহ বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের বিভিন্ন স্টেডিয়াম ও ব্যবস্থার প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে জাতীয় স্পিড স্কেটিং ওভালের পরিচালক উ স্যিয়াও নান বলেন:
“গত এপ্রিলে বিদ্যমান ব্যবস্থার পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে প্রতিযোগিতা আয়োজনের মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতার মানও অনেক উন্নত হয়েছে। এতে পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতা সফলভাবে আয়োজনে আমাদের আস্থাও বাড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, এবারের পরীক্ষামূরক প্রতিযোগিতা পুরোপুরি শীতাকালীন অলিম্পিক গেমসের মান অনুযায়ী চলছে। আর এবারের পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় কোনো দশর্ক থাকছে না। এদিকে, স্পিড স্কেটিং স্টেডিয়ামে স্যুভেনির দোকান আছে।
পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় চীনা নারী খেলোয়াড় ইয়াং পিন ইউ নারীদের ৩ হাজার মিটার স্পিড স্কেটিংয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার পর তিনি বলেন,
“এই প্রতিযোগিতার সকল দিকের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। জাতীয় স্পিড স্কেটিং স্টেডিয়াম অনেক সুন্দর। বরফ ও বিভিন্ন ব্যবস্থাও খুবই ভাল। আমি এবারের প্রতিযোগিতায় নিতে পেরে গর্বিত।”
আগের পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতার চেয়ে এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ২ হাজারের বেশি বিদেশি খেলোয়াড় ও কর্মী অংশ নিচ্ছেন। এটি মহামারী পরিস্থিতিতে একটি চ্যালেঞ্জ বটে। মহামারী প্রতিরোধব্যবস্থা অনুযায়ী বিদেশি খেলোয়াড় ও কর্মীদের চীনে এসে কোয়ারিন্টিন করতে হয়েছে। এ সম্পর্কে উ স্যিয়াও নান বলেন,
“আমরা কঠোরভাবে মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছি। স্পিড স্কেটিং স্টেডিয়ামেও সম্পূর্ণ মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্টেডিয়াম ও আয়োজনস্থলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে।”
স্পিড স্কেটিংয়ে নারীদের ৩ হাজার মিটার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভকারী নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড় এবারের প্রতিযোগিতার সম্পূর্ণ স্কোর মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন,
“এবারের প্রতিযোগিতায় মহামারী প্রতিরোধমূলক কাজ খুবই ভাল। খেলোয়াড়দেরকে ভালো সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মহামারী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।”
উল্লেখ্য, এবারের আন্তর্জাতিক পরীক্ষামূলক প্রতিযোগিতা ১০ অক্টোবর শেষ হবে। (ছাই/আলিম/স্বর্ণা)