অক্টোবর ৯: মাতৃভূমির সম্পূর্ণ একীকরণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পন্ন করতেই হবে এবং এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সিনহাই বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকীর স্মরণে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে আজ (শনিবার) চীনের প্রেসিডেন্ট জনাব সি চিন পিং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে এ মন্তব্য করেছেন। এতে চীনা জনগণের দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও শক্তিশালী ইচ্ছা ফুটে উঠেছে বলে মনে করে সিআরআই সম্পাদকীয়।
দেশের সম্পূর্ণ একীকরণ বাস্তবায়ন করা চীনা জাতির মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সিনহাই বিপ্লবের অসম্পূর্ণ কাজ। ১১০ বছর আগে জনাব সুন চোং শানের নেতৃত্বে সিনহাই বিপ্লব হয় এবং চীন শাসন করা দু’হাজার বছরের বেশি স্বৈরাচারী রাজতন্ত্রের অবসান হয়। ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া এবং সামাজিক সংযমের কারণে সিনহাই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতির স্বাধীনতা ও গণমুক্তির কর্তব্য সম্পন্ন হয় নি। দেশের একীকরণের সমস্যাও সমাধান হয় নি।
সিনহাই বিপ্লবের পথিকৃৎদের উত্তরাধিকারী হিসেবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর নেতৃত্বে চীনা জনগণ জাতির স্বাধীনতা ও জনগণের মুক্তি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বিশ্বে খুব বিরল অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন ও সমাজের স্থায়ী স্থিতিশীলতার বিস্ময় সৃষ্টি করেছে চীনা জনগণ। জনাব সুন চোং শানসহ সিনহাই বিপ্লবের পথিকৃত্দের দীর্ঘদিনের লালিত ইচ্ছা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাইওয়ান সমস্যার সমাধান করা এবং দেশের সম্পূর্ণ একীকরণ বাস্তবায়ন করা সিপিসি’র নিরবচ্ছিন্ন ঐতিহাসিক কর্তব্য।
চলতি বছর হলো সিনহাই বিপ্লবের ১১০তম বার্ষিকী এবং সিপিসি প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকী। আগে জনাব সুন বলেছিলেন, একত্রীকরণ হলো সব চীনাদের আশা। বর্তমানে চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। চীনের একীকরণ হলো ইতিহাসের প্রবণতা এবং কোনো ব্যক্তি ও শক্তি তা থামিয়ে দিতে পারবে না।
(লিলি/তৌহিদ/শুয়েই)