অক্টোবর ০৮: আজ (শুক্রবার) চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ দেশটির জৈববৈচিত্র সংরক্ষণবিষয়ক এক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এতে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে জৈববৈচিত্র সংরক্ষণে চীনের ধারণা, ব্যবস্থা ও তার সফল তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক সহযোগিতায় অংশ নিতে চীনের নানা প্রচেষ্টা ওঠে এসেছে এই শ্বেতপত্রে। বৈশ্বিক জৈববৈচিত্র সংরক্ষণের জন্য চীনা মেধা ও পদ্ধতি অব্যাহত অবদান রাখছে বলে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে আজ মন্তব্য করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, জৈববৈচিত্র হচ্ছে মানবজাতির বেঁচে থাকা ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ন ভিত্তি। তা মানবজাতির কল্যাণের সাথে জড়িত। চীন বরাবরই জৈববৈচিত্র সংরক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিবেশের সুরক্ষা ও সবুজ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বেইজিং। পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক আইনের উন্নয়ন করে চলছে। তত্বাধান ব্যবস্থা অব্যাহতভাবে জোরদার করছে। সবমিলিয়ে চীনের জৈববৈচিত্র সংরক্ষণ একটি নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, চীনের ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের জৈববৈচিত্র সংরক্ষণে অসাধারণ সুফল অর্জিত হয়েছে। শ্বেতপত্রের উপাত্ত অনুসারে, চীনের বনাঞ্চলের সম্প্রসারণের পরিমাণ ৩০ বছর ধরে বাড়ছে। ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত, বিশ্বে নতুন বৃদ্ধি পাওয়া সবুজ এলাকার মধ্যে ২৫ শতাংশ চীনের দ্বারা হয়েছে। বিশ্বের সবুজ এলাকা বৃদ্ধির খাতে চীনের অবদান সারা বিশ্বে প্রথম।
এসব উপাত্ত থেকে সপষ্টভাবে দেখা যায়, জৈববৈচিত্র সংরক্ষণে চীন অব্যাহত সুফলাফল অর্জন করছে। তা আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য একটি মডেল সৃষ্টি করেছে বলে সিআরআই সম্পদকীয়তে বলা হয়।
(আকাশ/এনাম/রুবি)