হাবিবুর রহমান অভি, ঢাকা: পণ্য সরবরাহে চীনে এবার ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব কম সময়ে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে পণ্য। বিশেষ করে যে কোন দুর্যোগে ও দুর্গম এলাকায় সরবরাহ সচল রাখতে ভূমিকা রাখতে পারবে এই প্রযুক্তি। তাই ড্রোন ব্যবহারের এই কার্যক্রম সফল হলে অনলাইন ব্যবসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
ড্রোনের নানামুখী ব্যবহার এরইমধ্যে দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু পণ্য পরিবহণে প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে চীনে।
কেবল সময়ে বাঁচাতেই নয়, বরং প্রত্যন্ত গ্রাম ও দুর্গম পাহাড়ী লোকালয়ে পণ্য পৌঁছে দিতে দুর্দান্ত কাজ করছে এসব ড্রোন। দুর্যোগকালীন সময়েও দারুণ কাজ করবে প্রযুক্তির নতুন এই সংযোজন। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পণ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী পৌঁছে দেবে এসব ড্রোন।
চীনের এস এফ এক্সপ্রেসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৩ সালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কথা আমাদের মনে আছে। সেসময় সহযোগিতা নিয়ে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন এক ব্যাপার ছিলো। এ কারণেই আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান ইউএভিএস প্রযুক্তির ব্যবহারে জোর দিয়েছেন। যাতে খুব কম সময়ে পণ্য পৌঁছে দেয়া যায়।‘
দেখতে অনেকটা চীনা বিশেষ প্রজাতির ‘মান্তা মাছ’ এর মতো এই ড্রোন। ডানাগুলো দীর্ঘ ও প্রসারিত। এর সবচেয়ে বড় সুবিধে হলো বাতাসে দীর্ঘ সময় ভেসে থাকা যায়। আর নিচের অংশে আছে জিনিসপত্র রাখার প্রশস্ত জায়গা।
পণ্য পরিবহণে প্রযুক্তির এই ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে চীনের এস এফ এক্সপ্রেস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, স্থানীয় কোম্পানী ও কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ অনেকটা সহজ করবে ড্রোনের ব্যবহার।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এসব ড্রোন ১০ কেজি ওজনের পণ্য নিয়ে অন্তত ১০০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে পারবে। কেন্দ্রীয়ভাবে মাত্র কয়েকজন প্রকৌশলী এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
পণ্য ডেলিভারিতে ড্রোনের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে এরইমধ্যে কয়েকটি অঞ্চলে চালানো হয়েছে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে অনলাইন শপিংয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।