ছেন মেং ১৯৬৮ সালের ১৫ জুলাই চীনের কেন্দ্র-শাসিত মহানগর শাংহাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের একজন সঙ্গীত শিল্পী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি কলের লাঙ্গল কারখানার একজন কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯০ সালে তিনি চাকরি ত্যাগ করে শেনজেন শহরে গিয়ে সংগীত চর্চায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু তার তিন মাস পর তিনি ফিরে আসেন। কারণ গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকে শেনজেন শহর ছিল ক্যান্টোনিজ ভাষার গানের একক আধিপত্য। আর ছেন মেং তখন শুধু একটি ক্যান্টোনিজ ভাষার গান গাইতে পারতেন। বাবা-মাকে ব্যর্থ মুখ দেখানোর সাহস না-পেয়ে তিনি বাসায় আর ফিরে যাননি তখন। তাই তিনি তাঁর বান্ধবীর বাসায় গিয়ে মনোযোগ দিয়ে ক্যান্টোনিজ ভাষার গান চর্চা শুরু করেন। ১৯৯২ সালে তিনি কুয়াং তোং প্রদেশের একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। ফলে এক রেকর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে গায়িকার খাতায় নাম লিখান। ১৯৯৩ সালে তিনি তাঁর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন। কিন্তু অ্যালবামের বিক্রয় ভাল ছিল না। পরের বছর তিনি জাতীয় যুব সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পেশাগত গ্রুপের একটি পুরষ্কার জিতেন। প্রতিযোগিতার পর তিনি বিখ্যাত সুরকার লিউ থোংয়ের একটি গান গাওয়ার সুযোগ পান। একই বছর তিনি তাঁর অ্যালবাম ‘চাঁদের আলো গোলাপ’ প্রকাশ করেন এবং সবার স্বীকৃতি অর্জন করেন। বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের শোনাতে চাই, ছেন মেংয়ের সেই জনপ্রিয় গান ‘চাঁদের আলো গোলাপ’।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ছেন পর পর চারটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ১৯৯৭ সালে তাঁর চতুর্থ অ্যালবাম ‘সাউন্ড অফ মিউজিকে’ সিনচিয়াং স্টাইলের একটি গান অন্তর্ভূক্ত করেন। গানের নাম ‘সুখী বাসা’। যা ছেনের সঙ্গীতে নতুন স্বাদ যুগিয়েছে। সুরকার ফু খ্য গানটি রচনা করেন। আসলে এর আগে তিনি ছেনের তৃতীয় অ্যালবামের জন্য ‘তোমার জন্য’ নামে একটি গান রচনা করেছিলেন। এটি তাঁদের দ্বিতীয় সহযোগিতা। গানের স্টাইল আরো সহজ ও নিরঙ্কুশ। এখন তাহলে আমি আপনাদের ‘সুখী বাসা’ ও ‘তোমার জন্য’ দু’টো গান একসাথে শোনাব, কেমন?
১৯৯৯ সালে চীনের মূল-ভূভাগের নাটক ‘আমাদের ভালবাসা চিরকাল মূল্যায়ন করুন’ সারা দেশে প্রচারিত হয়। ছেনও নাটকে শানশান নামের এক চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া, তিনি নাটকের গান ‘তোমার ভালাবাসার জন্য অপেক্ষা করি’ গেয়েছেন। টিভি নাটকটি সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠার সঙ্গেসঙ্গে গানটিও ব্যাপক স্বীকৃতি পায়।
‘আমি তোমাকে খুঁজে বের করবো’ ছেন মেং-এর ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘সুখ’ অ্যালবামের একটি গান। এটি সেই বছরের দর্শকদের বিবেচনায় সেরা ১০টি গানের অন্যতম। গানটি দিয়ে ছেন ২০০৬ সালে সিসিটিভি-এমটিভি সঙ্গীতানুষ্ঠানের সেরা গায়িকা পুরষ্কার জিতেন।
‘স্বপ্নের পথিক’ ছেন প্রকাশিত ২০১৫ সালের নতুন একটি অ্যালবাম। এটি তাঁর আগের অ্যালবামের প্রায় ৬ বছর পর প্রকাশিত হয়। এ ছয় বছরে তিনি নিজের ইচ্ছা মতো জীবনযাপন করেন। মাঝখানে ‘আমি একজন গায়ক’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। জীবনের স্বপ্ন নামে বেইজিংয়ে প্রথম একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং দ্বিতীয় জন্মস্থান কুয়াংচৌয়ে একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তিনি সময় নিয়ে নতুন অ্যালবামের জন্য প্রস্তুতি নেন। আচ্ছা, তাহলে আমরা এখন ছেনের এতো বেশি সময় নিয়ে তৈরি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত ‘স্বপ্নের পথিক’ শুনবো। (প্রেমা/এনাম)