সেপ্টেম্বর ১৪: সিআরআই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, তথাকথিত ‘উইগুর ট্রাইবুনালের’ অভিনয় বিশ্বের সন্ত্রাসদমনের সাফল্যকে নষ্ট করছে। সোমবার ব্রিটেনে তথাকথিত ‘উইগুর ট্রাইব্যুনালের’ দ্বিতীয় শুনানি শেষ হয়। এই শুনানি হচ্ছে তাদের পরিচালিত অভিনয়ের মাধ্যমে চীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চেষ্টা।
তথাকথিত ‘উইগুর ট্রাইব্যুনালের’ জন্ম নিয়েও বিতর্ক আছে। এটি হচ্ছে ব্রিটেনের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। চীনবিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থনে ‘ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস’ এতে বেশিরভাগ আর্থিক সমর্থন দেয়। ‘ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস’ জন্মের প্রথম দিন থেকেই সন্ত্রাসী সংস্থা ইটিআইএম-এর সঙ্গে জড়িত এবং সিনচিয়াংয়ে বিচ্ছিন্নতা ও সহিংস কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে আসছে। পাশাপাশি, ‘ওয়ার্ল্ড উইগুর কংগ্রেস’ যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সমর্থনে পরিচালিত হয়।
খুব সহজেই বোঝা যায়, তথাকথিত উইগুর ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে একটি চীন-বিরোধী উপকরণ। এবারের শুনানিতে আবারও আগের মতো কিছু অভিনেতা খুঁজে তাদের ভিত্তিহীন ‘গল্প’ বলা হয়েছে।
জনগণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য, চীন সরকার সিনচিয়াংয়ে কার্যকর ও শক্তিশালী সন্ত্রাসদমন ও চরমপন্থা নির্মূলের ব্যবস্থা নিয়েছে এবং সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে, সিনচিয়াংয়ে টানা চার বছরে কোনও সহিংস সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে নি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং মানবাধিকার রক্ষার খাতে সেখানে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে।
বিশ্ববাসীরা ইতোমধ্যে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছেন যে, তথাকথিত উইগুর ট্রাইব্যুনাল আসলে পশ্চিমাগোষ্ঠীর রাজনীতির একটি দাবার ঘুঁটি মাত্র। যা কখনও সিনচিয়াংয়ের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাধা দিতে পারবে না।
(আকাশ/তৌহিদ/রুবি)