সেপ্টেম্বর ১০: চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বৃহস্পতিবার) অনলাইনে ব্রিক্স শীর্ষ সম্মেলনের ত্রয়োদশ বৈঠকে অংশ নেন এবং বক্তৃতা করেন। ব্রাজিলের চীনা বিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক রনি লিন্স মনে করেন, সম্মেলনে উত্থাপিত সি চিন পিংয়ের প্রস্তাবগুলো পরবর্তী পর্যায়ে ব্রিক্স দেশগুলোর উন্নয়নে নতুন চালিকাশক্তি যোগাবে।
চলতি বছর হলো ব্রিক্স প্রতিষ্ঠার ১৫তম বার্ষিকী। বিগত ১৫ বছরে ব্রিক্সভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে ব্রিক্সের পাঁচটি দেশের অর্থনীতি ছিল বিশ্বের মোট অর্থনীতির ২৪.৪২ শতাংশ এবং বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল বিশ্বের মোট বাণিজ্যের ১৬.৯৮ শতাংশ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনা প্রস্তাব ও অবদান ব্রিক্স দেশগুলোর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এখন আরও কঠিন কাজ। এই প্রেক্ষাপটে সি চিন পিং তাঁর বক্তৃতায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রস্তাব রেখেছেন।
কোনো কোনো পাশ্চাত্য দেশের আধিপত্যবাদী ধারণা ও একপক্ষবাদ সম্পর্কে সি চিন পিং বলেন, বৈজ্ঞানিক উপায়ে মহামারীর উত্স অনুসন্ধান করতে হবে এবং বহুপক্ষবাদের পক্ষে কাজ করতে হবে।
‘নয়াদীল্লি ঘোষণা’-য় বলা হয়েছে, পারস্পরিক যোগাযোগ বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের সবাইকে নিরাপদ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)