সেপ্টেম্বর ৪: ৯০ দিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বানানো ভাইরাসের সূত্র অনুসন্ধান প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উঠে আসেনি। তবে, প্রতিবেদনে এর দায় চাপানো হয়েছে চীনের তথাকথিত ‘তথ্য গোপন রাখা’-র ওপর। আসলে, এ অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই ওঠা উচিত।
প্রথম কথা হচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাকে ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর মানে অনুসন্ধানকাজের সাথে বিজ্ঞানের কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো প্রমাণ না-পেলে ‘গোপন তথ্য রাখার’ অভিযোগ আনা হবে চীনের বিরুদ্ধে—এটা আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।
কিন্তু মিথ্যা কখনও সত্যের বিকল্প হতে পারে না বা সত্যকে ঢেকে রাখতে পারে না। চীন প্রথম দিকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে মহামারীসংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে এবং ভাইরাসের জিনের সিকুয়েন্স জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহামারী প্রতিরোধেও চীন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। চীনের সব পদক্ষেপ পরিষ্কার ও প্রমাণিত।
ভাইরাসের উত্স-অনুসন্ধানকাজে চীনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছিল উচ্চ মানের। আগস্ট মাস পর্যন্ত চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের সূত্র অনুসন্ধানসংক্রান্ত থিসিস প্রকাশ করেন ২৪১টি। চীনের অভ্যন্তরে এসংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ৩৯৫টি।
ওদিকে, মার্কিন নারী চিকিত্সক হ্যালেন জু ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মহামারীর সতর্কতা উচ্চারণ করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা লুকিয়ে রাখে। এরপর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য মার্কিন রাজনীতিবিদরা মহামারীসংক্রান্ত জাল তথ্য প্রকাশ করে। ফ্লোরিডা রাজ্যে ২০২০ সালের মে মাসে ঘটে আরেক অপরাধ। একই বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭১ জন পজেটিভ রোগীর তথ্য মুছে ফেলা হয়। তা ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সংগৃহীত রক্তের নমুনয় কোভিড-১৯ অ্যান্টি-বডি পাবার পর, এ সংক্রান্ত পরীক্ষা ও গবেষণা বন্ধ করে দেয়।
এখন বিশ্বের মানুষের প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্র কবে প্রাথমিক তথ্যাদি প্রকাশ করবে? কবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধান করতে আমন্ত্রণ জানাবে? বস্তুত, এখন যুক্তরাষ্ট্রের জবাবদিহি করার সময়। (ইয়াং/আলিম/ছাই)